“আমি তিনজনকে দেখতে পেয়েছি। সবার মাথায় টুপি ও মুখ মাফলার দিয়ে ঢাকা ছিল।”
Published : 12 Jan 2025, 10:10 PM
নীলফামারীতে সোনালী ব্যাংকের একটি উপশাখায় ডাকাতি করতে গিয়ে নগদ টাকা না পেয়ে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও ব্যাংকে অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে জেলা সদরের সংগলশী কাজীরহাট এলাকায় সোনালী ব্যাংক উত্তরা ইপিজেট উপশাখায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. আব্দুল মোনায়েম বাদী হয়ে রোববার সকালে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে ওই থানার ওসি এম আর সাঈদ জানান।
এ সময় ব্যাংকের নিরাপত্তা কর্মী মাসুদ রানাকে (২৪) মারধর ও হাত পা বেঁধে রাখা হয়েছিল। তিনি নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এলাকাবাসী বলছে, কয়েকদিন আগে ব্যাংকের ওই শাখায় একটি নতুন ভল্ট স্থাপন করা হয়। শনিবার রাতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে সেখানে প্রবেশ করে সন্ত্রাসীরা। পরে ভেতরে তল্লাশি ও ভাঙচুর করে নগদ টাকা-পয়সা না পেয়ে ব্যাংকে অগ্নিসংযোগ করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রোববার দুপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিরাপত্তা কর্মী মাসুদ রানা ঘটনার বর্ণনায় বলেছেন, “শনিবার রাত ১১টায় ডিউটিতে যোগ দেই। সাড়ে ১২টার দিকে আমার শরীর খারাপ লাগছিল। ঘুম না আসায় ব্যাংকের নিচে পান খাওয়ার জন্য নামি।
“এরপর ব্যাংকের মূল গেটে তালা দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করি। কিছুক্ষণ পর বাথরুমে যাই এবং সেখানে ১০ মিনিট ছিলাম।”
তার ভাষ্য, “বাথরুম থেকে বের হতেই আমার মাথায় আঘাত করা হয়। এ সময় আমি তিনজনকে দেখতে পেয়েছি। সবার মাথায় টুপি ও মুখ মাফলার দিয়ে ঢাকা ছিল। তারা আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে এবং ধারালো অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লকারের চাবি চায়।
“আমি বলি যে, এখানে কোনো টাকা থাকে না। তখন তারা ব্যাংকের বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চালিয়ে ভাঙচুর করে। টাকা না পেয়ে আমার হাত পা বেধে সিড়ির নিচে ফেলে দিয়ে ব্যাংকের ভেতর অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।”
হামলাকারীরা মূল ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেছে বলে নিরাপত্তা কর্মী মাসুদের দাবি।
সোনালী ব্যাংক উত্তরা ইপিজেট উপশাখার ব্যাবস্থাপক মো. আব্দুল মোনায়েম বলেন, “স্থানীয়দের কাছে ব্যাংকে আগুন লাগার খবর শুনে ভবন মালিক মো. রফিকুল ইসলাম শাহ শনিবার রাত ২টার দিকে আমাকে ফোন করে। পরে জরুরি সেবা-৯৯৯ এ ফোন দিয়ে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই।
“পরে ফায়ার সার্ভিস ও টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমার ও গার্ড রুমের আসবাবপত্র ও কাগজপত্র পুড়ে গেছে। তবে ওই শাখায় কোনো টাকা পয়সা ছিল না। এ ঘটনায় আমি বাদী হয়ে রোববার সকালে নীলফামারী সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি।”
ওসি এম আর সাঈদ বলেন, “ব্যাংকে আগুন লাগার বিষয়ে অভিযোগ করেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”