মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামালকে বুধবার এবং সংসদ সদস্য বাদশাকে বৃহস্পতিবার হাজির হতে বলা হয়েছে।
Published : 04 Dec 2023, 09:16 PM
মিছিল-সমাবেশ করে জনগণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় রাজশাহী-২ সদর আসনের ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আলী কামালকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি।
সোমবার আলাদা চিঠিতে এই দুই প্রার্থীকে সশরীরে কিংবা প্রতিনিধির মাধ্যমে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ বিকাশ কুমার বসাক।
রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি কামালকে বুধবার এবং সংসদ সদস্য বাদশাকে বৃহস্পতিবার হাজির হতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ফজলে হোসেন বাদশা প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও রোববার তার দলের নেতাকর্মীরা নগরীর ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন। ওই সমাবেশে বাদশার পক্ষে এবং তার নেতৃত্বে শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। ওই সমাবেশের ফলে জনগণের চলাচলের চরম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।
সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮-এর ৬ (ঘ) নং বিধি অনুযায়ী কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি জনগণের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারে এমন কোনো জনসভা কিংবা পথসভা সড়কে করতে পারবে না।
এ ছাড়া, উক্ত বিধিমালার ১২ নং বিধিমতে কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি ভোট গ্রহণের জন্য নির্ধারিত দিনের তিন সপ্তাহ সময়ের আগে কোনো প্রকার নির্বাচনি প্রচার শুরু করতে পারবেন না। উপরোক্ত মিছিল ও সমাবেশের মাধ্যমে 'সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮-এর ৬ (ঘ) ও ১২ নং বিধি' লঙ্ঘিত হয়েছে।
এ অবস্থায় বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ফজলে হোসেন বাদশার বিরুদ্ধে কেন নির্বাচন কমিশনে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না মর্মে বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় সশরীরে হাজির হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে, একই অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে রাজশাহী-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী কামালকেও। তিনি রোববার নগরীর জিরো পয়েন্টে শান্তি সমাবেশ করে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটান।
এ অবস্থায় তার বিরুদ্ধেও কেন নির্বাচন কমিশনে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হবে না মর্মে বুধবার বিকেল ৩টায় সশরীরে হাজির হয়ে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।