কোদলা নদীটি বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের সীমান্ত দিয়ে বয়ে গেছে।
Published : 06 Jan 2025, 11:35 PM
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্তে কোদলা নদীর ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার এলাকায় বাংলাদেশিদের অবাধ যাতায়াত নিশ্চিত করেছে বিজিবি।
সোমবার দুপুরে উপজেলার মাটিলা সীমান্তে কোদলা নদীর পাড়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য দেন বিজিবি মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজুস শহীদ।
সীমান্তবর্তী কোদলা নদীটি দুই দেশের সীমান্ত দিয়ে বয়ে গেছে। ১৯৬১ সালে প্রণয়ন করা মানচিত্র অনুসারে নদীর ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার বাংলাদেশের ভেতর পড়েছে।
সন্ধ্যায় বিজিবির মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের পর সীমান্ত এলাকায় বসবাসরতরা শূন্যরেখা ছেড়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে চলে আসেন। এরপর থেকে বিএসএফ নদীতেও আধিপত্য বিস্তার করে।
“বাংলাদেশিরা নদীতে গোসল ও মাছ ধরতে গেলে বাধা দিত বিএসএফ। এ নিয়ে দুদেশের নাগরিক ও বিএসএফের মধ্যে একাধিকবার বাকবিতণ্ডাও হয়। বিষয়টি বিজিবির মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের নজরে আসলে খোঁজ-খবর নেন তারা।
“নদীর মাটিলা এলাকায় ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার এলাকা বাংলাদেশের মালিকানা নিশ্চিত হওয়ার পর দখলের বিষয়ে বিএসএফের কাছে প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। পাশাপাশি বাংলাদেশ অংশে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারে তৎপর হয়। ওই এলাকায় টহল জোরদার করে বিজিবি।“
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এর অংশ হিসেবে ১৯ ডিসেম্বর থেকে নদী ও নদী তীরবর্তী এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য বোট ও এটিভি ব্যবহৃত শুরু করেন বিজিবি সদস্যরা।
পরদিন থেকে বাংলাদেশিরা নদী ব্যবহার, মাছধরা ও নদী তীরবর্তী জমি চাষাবাদ শুরু করেন। এরপর থেকে ভারতীয়দের আর আনাগোনা দেখা যাচ্ছে না বলে বিজিবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এদিন দুপুরে মাটিলা সরকারি প্রাইমারি স্কুল মাঠে ভারত থেকে সীমান্ত দিয়ে অবৈধ প্রবেশ, মাদক ও চোরাকারবারিদের প্রতিহত করতে জনসচেতনতামূলক সভার আয়োজন করে বিজিবি। এতে ৫৮-বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজিজুস শহীদ, নবাগত অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিক ও মাটিলা ক্যাম্প কমান্ডার মোক্তার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।