পুলিশ জানায়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারিকের মৃত্যু হয়।
Published : 26 May 2024, 03:15 PM
দ্বিতীয় ধাপে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত যুবকের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে কুমারখালী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আকিবুল ইসলাম জানান।
নিহত তরিকুল ইসলাম তারিক (৩৫) চাপড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের জয়নাবাদ গ্রামের মন্ডলপাড়ার গোলাম মোস্তফার ছেলে।
তিনি বিজয়ী চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খানের আনারস প্রতীকের সমর্থক এবং ওই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ জানায়, এর আগে সোমবার বিকালে উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ কলোনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট গণনার সময় কেন্দ্রের সামনে প্রতিপক্ষের হামলায় তারিকসহ তিনজন আহত হন। আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারিকের শারীরিক অবস্থার অবনতি চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন।
পরিদর্শক আকিবুল বলেন, এ ঘটনার পর ২৩ মে নিহতের বড় ভাই তরিকুল ইসলাম টরিক বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ৫/৬জনকে অজ্ঞাত আসামি করে কুমারখালী থানায় মামলা করেন।
মামলার বরাতে তিনি বলেন, জয়নাবাদ কলোনীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আধিপত্য নিয়ে সকাল থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বী দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল।“ভোট গণনার সময় কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্যের ছেলে চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোরশেদ পিটারের সমর্থক আনিসুর রহমান লালের নেতৃত্বে মধু সাদ্দামসহ ১৫ থেকে ২০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল মান্নান খানের সমর্থকদের উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়।”
পরিদর্শক বলেন, “এতে তারিকুল ইসলাম তারিক, রাশেদ ও নাজিরুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। আহতদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক তারিককে ঢাকায় হস্তান্তর করেন। ”
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
নিহতের বড় ভাই তারিকুল ইসলাম টরিক বলেন, “আমার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের পেছনে মদদ দাতা আছে। তাকে চিহ্নিত করার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। মামলার প্রধান আসামি সন্ত্রাসী লালসহ মদদ দাতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।”
নিহতের বড় মেয়ে তামান্না বলেন, “আমার বাবাকে ওরা যেভাবে মেরে হত্যা করা হয়েছে ঠিক এভাবেই যেন হত্যাকারীদের বিচার করা হয়।”