গত ৬ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জ থেকে সিরাজদিখানে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার পথে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
Published : 23 Feb 2025, 08:23 PM
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলায় এক নারী পোশাক শ্রমিককে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
শনিবার একজন এবং রোববার অপরজন মুন্সীগঞ্জের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিরাজদিখান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাবিবুর রহমান।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার বালুচর মোল্লাবাজার এলাকা থেকে একজন এবং শনিবার রাত সোয়া ২টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের ফতুল্লার মাসদাইর থেকে অপরজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান তিনি।
গ্রেপ্তারা হলেন- উপজেলার চর চসমদ্দিন গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ইসলাম নুরু (৩৫) এবং মো. বাবুল (৩৩) উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের চর চসুমদ্দিন গ্রামের বাসিন্দা।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ধর্ষণের ঘটনায় ২১ ফেব্রুয়ারি ২৯ বছর বয়সি ভুক্তভোগী ওই নারী সিরাজদিখান থানায় মামলা করেন।
সিরাজদিখান থানার ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, “ওই নারী নারায়ণগঞ্জের সিসিকের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। তবে তার স্বামী সিরাজদিখানে বসবাস করেন। ৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ওই নারী নারায়ণগঞ্জ শহর থেকে সিরাজদিখানের মোল্লাবাজার সিএনজি স্ট্যান্ডে যান। সেখান থেকে স্বামীর পাঠানোর ইজিবাইকে করে তিনি বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
“পথে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে উপজেলার ‘শ্যামল ছায়া প্রজেক্টের’ সামনে রাস্তায় চর চসমদ্দিন গ্রামের মো. রহিম ও একই গ্রামের আরিফ সরকার ইজিবাইকের গতিরোধ করে ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে চালককে তাড়িয়ে দেন। পরে তারা ওই নারীকে তুলে নিয়ে মোল্লাকান্দির নির্জন নদীর পাড়ে নিয়ে যান। যেখানে তাদের অন্য সহযোগীরা উপস্থিত হন।
“সেখানে রাত ১১টা পর্যন্ত পাঁচজন মিলে ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। পরে তারা ভুক্তভোগীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অন্য একটি ইজিবাইকে তুলে দেন। ওই নারী সিরাজদিখানে তার বোনের বাসায় গিয়ে স্বজনদের ঘটনাটি জানান।”
ঘটনার ১৬ দিন পর শুক্রবার ওই নারী নুরুল ইসলাম নুরু, মো. রহিম (৩২), আরিফ সরকার (৩০), মো. বাবুল এবং মো. সোলেমানকে আসামি করে ধর্ষণের মামলা করেন বলে জানান পুলিশ পরিদর্শক হাবিবুর রহমান।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার দুইজন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি তিন আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
এ ছাড়া ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় আলামত জব্দ করা হয়েছে বলে জানান মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান।