ভারতের আইন অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশটি পরে ফেরত দেওয়া হবে বলে বিজিবি জানিয়েছে।
Published : 17 Nov 2022, 06:00 PM
ফেনীর পরশুরামের সীমান্তের ওপারে পড়ে থাকা এক বাংলাদেশির মরদেহ ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ নিয়ে গেছে।
ভারতের আইন অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশটি পরে ফেরত দেওয়া হবে বলে বিজিবি জানিয়েছে।
বুধবার ভোর রাতে পতাকা বৈঠক শেষে লাশটি বিএসএফ নিয়ে যায় বলে ফেনী-৪ বিজিবি ব্যটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন।
বুধবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন সীমান্তের শূন্যরেখার ভারতীয় অংশে কাঁটাতারের ওপাশে এক ব্যক্তির লাশ দেখতে পায়। স্থানীয় বাসিন্দারা লাশটিকে পরশুরাম উপজেলার উত্তর গুথুমা গ্রামের মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন (৪৭) বলে শনাক্ত করেন।
মেজবাহ উদ্দিন পরশুরাম পৌর এলাকার উত্তর গুথুমা গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে। তিনি কৃষিকাজের পাশাপাশি গরু ব্যবসায়ে জড়িত ছিলেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম আরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, সীমান্তে পড়ে থাকা এই মরদেহের বিষয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে বুধবার রাতে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক হয়।
পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে গুথুমা সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার সুবেদার ওমর ফারুক ও ভারতের পক্ষে ত্রিপুরার শাড়াসিয়া সীমান্ত ফাঁড়ির কমান্ডার সত্য পাল উপস্থিত ছিলেন বলে তিনি জানান।
“পতাকা বৈঠক শেষে বুধবার ভোর রাতে (৩টার দিকে) ভারতের সীমানার মধ্যে থাকা লাশটি ভারতীয় কর্তৃপক্ষ নিয়ে যায়। সেদেশের আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ ফেরত দেওয়ার কথা হয়েছে।”
নিহত মেজবাহার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বলেন, গত রোববার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার স্বামী মেজবাহ উদ্দিন উত্তর বাঁশপদুয়া গ্রামের ভারতীয় সীমানন্ত সংলগ্ন এলাকায় ধান কাটতে যান। এ সময় বিএসএফের সদস্যরা তাকে ডাকাডাকি করতে থাকেন। ডাক শুনে তিনি নিজ এলাকার দিকে চলে আসার চেষ্টা করলে বিএসএফের সদস্যরা তাকে ধরে নিয়ে যায়।
বিষয়টি এলাকার লোকজন বিজিবি সীমান্ত ফাঁড়ি ও পরশুরাম থানার পুলিশকে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন বলে সনোয়ারা জানান।
পরশুরাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) পার্থ প্রতিম দেব বলেন, রোববার বিকালে বিএসএফ সদস্যরা এক বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বলে মৌখিকভাবে অভিযোগ করলেও পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় বা বিজিবিকে লিখিতভাবে কিছু জানানো হয়নি। সীমান্তে দুদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক হয়েছে বলে পুলিশ অবগত হয়েছে।
বিএসএফের মাধ্যমে বিজিবি লাশ বুঝে পেলে ও পরবর্তী সময়ে পুলিশকে বুঝিয়ে দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আরও পড়ুন: