খুলনা সিটি নির্বাচন: ১৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে ১৮ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।

তাদের মধ্যে ৪ জন মেয়র পদপ্রার্থী, ১২ জন সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ও ২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদপ্রার্থী রয়েছেন।

মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়া প্রার্থীরা তিন দিনের মধ্যে খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করতে পারবেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন আওয়ামী লীগের তালুকদার আবদুল খালেক, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম মধু, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আবদুল আউয়াল, জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন, স্বতন্ত্র এস এম শফিকুর রহমান, আল আমিন মো. আব্দুল্লাহ চৌধুরী ও সৈয়দ কামরুল ইসলাম–এই সাতজন।

“এর মধ্যে মনোনয়নপত্রে তথ্যের ঘাটতি ও ভুল তথ্য থাকায় জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেন, স্বতন্ত্র এস এম শফিকুর রহমান, মো. আবদুল্লাহ চৌধুরী ও সৈয়দ কামরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।”

তিনি জানান, স্বতন্ত্র তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে ৩০০ ভোটার সমর্থনকারীর তথ্যে ভুল থাকার কারণে। আয়কর রিটার্ন দাখিল, রসিদ ও প্রত্যয়নপত্র জমা না দেওয়ায় বাতিল করা হয়েছে জাকের পার্টির এস এম সাব্বির হোসেনের মনোনয়নপত্র।

সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল গফ্ফার বিশ্বাস মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেও তা জমা দেননি বলে এই কর্মকর্তা জানান।

রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, ৩১টি ওয়ার্ডের সাধারণ কাউন্সিলর পদের জন্য ১৪৯ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে ১২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

সংরক্ষিত ১০টি কাউন্সিলর পদের জন্য জমা দেওয়া ৩৯ জন কাউন্সিলর পদপ্রার্থীর মধ্যে ২ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে।

সাধারণ ওয়ার্ডের মধ্যে ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। এ ছাড়া একজন করে প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে ১, ৯, ১১, ১৪, ১৭, ১৮, ২২, ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে।

৫ ও ১০ নম্বর ওয়ার্ডে একজন করে সংরক্ষিত প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়।

রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, যাদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে, তারা ১৯ মে থেকে ২১ মে পর্যন্ত খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কাছে প্রার্থিতা ফিরে পেতে আপিল করতে পারবেন। ২২ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত আপিল নিষ্পত্তি করা হবে। ২৫ মে পর্যন্ত মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন প্রার্থীরা।

২৬ মে প্রতীক বরাদ্দের পর শুরু হবে প্রচার-প্রচারণা। ১২ জুন ইভিএমের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ।

এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার প্রায় পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার। ২৮৯টি ভোট কেন্দ্রে কক্ষ থাকবে এক হাজার ৭৩২টি।