কমিটি বাতিলের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের একাংশের কর্মসূচির কারণে সেতুর উত্তরাঞ্চল ও ঢাকামুখি সব যানবাহন বন্ধ ছিল, বলেন বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম থানার ওসি।
Published : 10 Feb 2025, 10:25 PM
একাংশের আন্দোলনের মুখে সদ্য ঘোষিত সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটি স্থগিত করা হয়েছে।
সোমবার রাত ৮টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের সইয়ে এক চিঠির মাধ্যমে কমিটি স্থগিত করা হয় বলে জানান সিরাজগঞ্জের অন্যতম সমন্বয়ক মোন্তাসির মেহেদী হাসান।
এ ছাড়া ফেইসবুকে তাদের ভেরিফায়েড পেজেও কমিটি স্থগিতের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
মোন্তাসির মেহেদী হাসান বলেন, “কমিটি স্থগিতের পর আমরা মহাসড়কে আন্দোলন থেকে সরে এসেছি।”
সদ্য ঘোষিত সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একাংশের শিক্ষার্থীরা সোমবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে যানবাহন ও ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
সেসময় সেতুর ওপর দিয়ে উত্তরাঞ্চল ও ঢাকার পথে যানবাহন বন্ধ ছিল। ৭টার থেকে সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলেও সড়ক পথ স্বাভাবিক হয় রাত ৮টার পর।
আন্দোলনকারীরা সেতুর পশ্চিমপাড় গোলচত্বরের পাশে অবস্থান করছিল। এর আগে বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে সেতুর পশ্চিমপাড় গোলচত্বরে অবস্থান নিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম সয়দাবাদ রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মনিরুজ্জামান বলেন, “সন্ধ্যা ৬টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা স্টেশনে এসে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস ও কুড়িগ্রাম থেকে ঢাকামুখি কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস বন্ধ করে দিয়েছিল। তখন ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। ৭টার পর শিক্ষার্থীরা চলে যাওয়ায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পদ বঞ্চিত শিক্ষার্থীদের ব্লকেড কর্মসূচির কারণে সেতুর পশ্চিম গোল চত্বর অবরোধ করে রেখেছিল। এতে সেতুর উত্তরাঞ্চল ও ঢাকামুখি সব যানবাহন বন্ধ ছিল। এ কারণে মহাসড়কের দুই প্রান্তে যানজট দেখা দেয়।
“রাত ৮টার পর শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেওয়ায় মহাসড়কের অবস্থা স্বাভাবিক হতে থাকে।”
শনিবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষর করা পত্রে ২৮৪ সদস্য বিশিষ্ট সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।
এতে সজীব সরকারকে আহ্বায়ক, মেহেদী হাসানকে সদস্যসচিব, ইকবাল হোসেন রিপনকে মুখ্য সংগঠক ও টিএম মুশফিক সাদকে মুখপাত্র করা হয়।
এরপর থেকে এ কমিটি নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
একাংশের শিক্ষার্থীরা জেলার অন্যতম সমন্বয়ক মুন্তাসির মেহেদী হাসানের নেতৃত্বে আন্দোলনে নামে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় কমিটি নতুন ঘোষিত কমিটি স্থগিত করে।
জেলায় যাকে আহ্বায়ক করা হয়েছিল কমিটি স্থগিতের বিষয়টি সেই সজীব সরকারও স্বীকার করেছেন।
আরো পড়ুন:
বৈষম্যবিরোধী কমিটি নিয়ে বিক্ষোভে বঙ্গবন্ধু সেতুতে যান চলাচল বন্ধ