“এ সময় তার স্বামী ও ছোট নাতিন বের হতে পারলেও মনেজা ঘরের নিচে চাপা পড়েন।”
Published : 27 May 2024, 11:16 AM
ভোলায় ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবের মধ্যে গাছ-ঘরচাপায় নারী ও শিশুসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার ভোররাতের দিকে লালমোহন, দৌলতখান ও বোরহান উদ্দিন উপজেলায় তাদের মৃত্যু হয় বলে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
নিহতরা হলেন- লালমোহন উপজেলার মনেজা খাতুন (৫৫), দৌলতখান উপজেলার মাইসা (৪) ও বোরহান উদ্দিন উপজেলার জাকির (৫০)।
সোমবার ভোররাত ৪টার দিকে চর উমেদ ইউনিয়ন পরিষদের চর উমেদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে লালমোহন থানার ওসি এসএম মাহবুব উল আলম জানান।
ওসি বলেন, “ঘূর্ণিঝড়ে ঘরের নিচে চাপা পড়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি।”
মৃত ৫৫ বছর বয়সী মনেজা খাতুন ওই চর উমেদ এলাকার আব্দুল কাদেরের স্ত্রী।
পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য সেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তা মো. হান্নান বলেন, “মনেজা খাতুন রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় তার স্বামী ও ৫-৭ বছর বয়সী নাতিনও তার সঙ্গে একই ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন।
“ভোর রাত ৪টার দিকে তীব্র ঝড়ে তাদের বসত ঘরটি বিধ্বস্ত হয়। এ সময় তার স্বামী ও ছোট নাতিন বের হতে পারলেও মনেজা ঘরের নিচে চাপা পড়েন। পরে প্রতিবেশীরা গিয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করেন।“
দৌলতখান উপজেলায় ঝড়ের মধ্যে ঘর চাপা পড়ে মাইসা নামের একজন মারা গেছে বলে দৌলতখান থানার ওসি ওসি সত্য রঞ্জন খাসকেল জানান।
আর বোরহান উদ্দিন থানার ওসি মো. শাহীন ফকির বলেন, বোরহান উদ্দিন উপজেলায় ঝড়ে গাছ চাপা পড়ে জাকির নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে দ্বীপজেলা ভোলায় অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আরিফুজ্জামান বলেন, “ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় প্রশাসন তা খতিয়ে দেখছে।”
রোমালের তাণ্ডবের ফলে রোববার রাত ৯টার পর থেকে পুরো ভোলা জেলা অন্ধকারে; কোথাও বিদ্যুত নেই। বহু এলাকায় মোবাইলের নেটওয়ার্ক নেই | সোমবার সকাল থেকে দমকা হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।