রাহুল আনন্দের জনপ্রিয় গান ‘বকুল ফুল, বকুল ফুল সোনা দিয়া হাত কেনে বান্ধাইলি’ গেয়ে শুরু হয় প্রতিবাদ।
Published : 10 Aug 2024, 01:58 AM
সঙ্গীত শিল্পী রাহুল আনন্দের বাড়িতে হামলা ও বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় গানে গানে প্রতিবাদ হয়েছে সিলেটে।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে সিলেট নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে এভাবেই প্রতিবাদ করা হয়।
রাহুল আনন্দের জনপ্রিয় গান ‘বকুল ফুল, বকুল ফুল সোনা দিয়া হাত কেনে বান্ধাইলি’ গেয়ে শুরু হয় কর্মসূচি।
এ সময় ‘এ লজ্জা আমাদের’ ‘আমিতো মানুষের জন্য গান করি, তবুও তারা আমার সবগুলো বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দিল’ ‘আমি একটা মানুষ বাচ্চাকে জীবিত নিয়ে বের হতে পেরেছি, বাকিরা পুড়ছে বা লুট হয়েছে’ লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে দাঁড়ান সিলেটের সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
শহীদ মিনার এলাকার আশপাশে বিভিন্ন কার্যক্রমে থাকা শিক্ষার্থীরাও এসে প্রতিবাদে অংশগ্রহণ করেন।
রাহুল আনন্দের গান ছাড়াও সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয় দেশাত্মবোধক, লোক সঙ্গীতসহ নানা ধরনের গান।
প্রায় ৪০ মিনিট গান গেয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে শেষ হয় সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ কর্মসূচি।
কর্মসূচির সমন্বয়ক সংস্কৃতিকর্মী ও সাংবাদিক নয়ন সরকার বলেন, “আমরা চাই, এই দেশে সব জাতি ধর্মের মানুষ সমান অধিকার নিয়ে বসবাস করবে। এই গণঅভ্যুত্থানের পর জলের গানের রাহুল আনন্দসহ অসংখ্য সংখ্যালঘুদের ওপর হওয়া হামলা-নির্যাতন বন্ধ, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়া, সংস্কৃতিচর্চার পরিবেশ তৈরি করা, মৌলবাদের আগ্রাসন রুখে দাঁড়াতেই ছিল আমাদের আজকের প্রতিবাদী আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য।”
তিনি আরও বলেন, “গানের মানুষ, জলের গানের রাহুল আনন্দ। তিনি গানের মাধ্যমে গণমানুষের কথা বলেন, নিজের তৈরি বাদ্যযন্ত্র দিয়ে সংস্কৃতিকে ধারণ করেন। সেই রাহুল আনন্দের বাড়িতে হামলা হয়েছে, তার বাড়ি, বাদ্যযন্ত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু এক কাপড়ে পরিবারকে নিয়ে নিজের বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতে হয়েছে তাকে। এই লজ্জা আমাদের। এমন নিকৃষ্ট ঘটনায় আমরা সিলেটে সাংস্কৃতিক কর্মীরা ক্ষুব্ধ।”
এ সময় ছিলেন সংস্কৃতিকর্মী শামসুল বাসিত শেরো, সংক্ষুব্ধ নাগরিক আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল করিম কিম, সোহেল আহমদ, রেজাউল কিবরিয়া, অরূপ শ্যাম বাপ্পি।