র্যাব জানায়, সংশ্লিষ্ট আইনে তাদের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় মামলা করা হয়েছে।
Published : 15 May 2024, 03:45 PM
রাজশাহী নগরীতে ডাকাতির প্রস্তুতির সময় দেশীয় অস্ত্রসহ ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৫ এর সদর দপ্তরে অধিনায়ক মুনীম ফেরদৌস।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নগরের মতিহার থানার খোজাপুর এলাকার মিজানুর রহমান মিজু (৩০), একই এলাকার মো. বকুল (৩৮), ডাসমারী পূর্বপাড়ার মো. ঈমান (২৪), ধরমপুর এলাকার মো. শাকিব (২৫), মো. রবিন (২০), মো. রাব্বি (২৪), আমান (২২), বিজয় (১৭), মো. অনিক (২১), চর শ্যামপুরের ইয়ামিন আলী (২৮) এবং চারঘাট থানার শিমুলিয়া এলাকার বিপ্লব আলী (২২)।
অধিনায়ক মুনীম সাংবাদিকদের বলেন, “আসামিরা সবাই ‘মিজু গ্যাং’ এর সদস্য। তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মহানগর এলাকায় বিভিন্ন স্থানে চাঁদাবাজি, জমিদখল করতেন।
“এলাকায় কোনো ব্যক্তি জমি ক্রয় ও বাড়ি নির্মাণসহ যে কোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান খুললে তাদেরকে চাঁদা না দিয়ে কোনো কাজ করতে পারত না। এ ছাড়া মহানগরীর বিভিন্ন পয়েন্টে দলবদ্ধভাবে ছিনতাই ও ডাকাতি করত তারা।”
তিনি বলেন, “মিজানুর রহমান এ দলের প্রধান। তারা টেলিগ্রাম ব্যবহার করে বিভিন্ন তথ্য আদান-প্রদান করত। মঙ্গলবার রাতে মতিহার থানার ধরমপুর পূর্বপাড়ায় একটি পরিত্যক্ত ভবনে ব্যক্তিগত ক্লাব ঘরে উপস্থিত হয়ে তারা ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল।
“খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা সেখানে অভিযান চালিয়ে ও পরে তাদের দেওয়া তথ্যে বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে সবাইকে গ্রেপ্তার ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।”
তাদের কাছ থেকে ১৮টি ধারালো হাসুয়া, সাতটি ধারালো তলোয়ার, দুইটি চাকু, তিনটি কাটার হাতল, একটি চাইনিজ কুড়াল, ৫৩টি সিমেন্টের ব্লক, একটি খেলনা পিস্তল, তিনটি মোটরসাইকেল এবং ১২টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়ে বলে জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
“প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা স্বীকার করেছে, দীর্ঘদিন যাবত সংঘবদ্ধভাবে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখল, ছিনতাই, ডাকাতি, টেন্ডারবাজি, সরকারি কাজে বাধা, সংঘবদ্ধভাবে মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, মাদক সেবনসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে।”
সংশ্লিষ্ট আইনে তাদের বিরুদ্ধে মতিহার থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান র্যাব-৫ এর অধিনায়ক মুনীম।