শুক্রবার বিকালে ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে উঠে গেলে দুশ্চিন্তা বাড়ে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবিব জানান, শুক্রবার বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে নদীর পানি বিপৎসীমার দুই সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। কিন্তু বিকালে তা বেড়ে দুই সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
গংড়াচড়া উপজেলার চল্লিশসাল চরের মন্টু মিয়া বলেন, রাত থেকেই হুহু করে পানি বাড়ছে। তার বাড়ি নদী তীরবর্তী হওয়ায় কয়েক দিন ধরে নির্ঘুম রাত পার করছেন।
নিচু অঞ্চলে ইতোমধ্যে পানি ঢুকে পড়ায় তাদের আতঙ্ক বেশি।
লক্ষ্মীটারী ইউনিয়নের শংকরদাহ গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তিন দিন আগে তাদের বাড়িতে পানি উঠছে।
পশ্চিম ইচলি চরের আজিমোন নেছার (৫২) বাড়ি পানিতে ডুবে গেছে। তার ওপর আছে নদীভাঙনের আতঙ্ক।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “রাতে ঘুমাতে পারি না। কোন বেলা যে নদী হামার বাড়ি ভাঙ্গি নিয়ে যায়!”