বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকে ‘শার্টের কলার ধরে লাঞ্ছিত’, অভিযোগ শিক্ষকের বিরুদ্ধে

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে শার্টের কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

বরিশাল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 April 2022, 08:14 AM
Updated : 12 April 2022, 08:14 AM

বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর সুপ্রভাত হালদারের বিরুদ্ধে ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী এবিএম মুশফিকুর রহমান এ অভিযোগ করেছেন।

সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের চলায় তলায় এ ঘটনার পর মুশফিকুর উপাচার্য সাদেকুল আরেফিনকে একটি লিখিত অভিযোগ দেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন। 

ঘটনার বর্ণনায় মুশফিকুর বলেন, “রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অধ্যয়নরত সহপাঠীদের সঙ্গে দেখা করতে একাডেমিক ভবনের চার তলায় যাই। সেখানে আগে থেকেই হৈ চৈ হচ্ছিল। এ সময় আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুপ্রভাত হালদার সবাইকে ডাকে। তখন আমি চারতলা থেকে নিচের দিকে নেমে যাচ্ছিলাম। আমি ভেবেছিলাম, আগে থেকেই যে বন্ধুরা ওখানে অবস্থান করছে স্যার তাদেরকে ডেকেছেন।

“হঠাৎ কিছু বুঝে ওঠার আগেই পেছন থেকে সুপ্রভাত স্যার আমার শার্টের কলার ধরে টেনে হিঁচড়ে আমাকে ৪ তলায় আইন বিভাগে তার রুমে নিয়ে যান এবং সেখানে আমাকে ১০/১৫ মিনিট আটকে রাখেন। এ সময় স্যার আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেওয়ারও হুমকি দেন। এক পর্যায়ে তিনি ফোন করে প্রক্টর স্যারকে ডাকেন। তিনি এসে আমাকে রুম থেকে বের করে নিয়ে যান।”

মুশফিকুরের অভিযোগ, প্রক্টর স্যার শুধু সুপ্রভাত স্যারের কথাই শুনেছেন, তার কোনো কথা শোনেন নি। উল্টো তিনি বিষয়টি নিয়ে ‘বাড়াবাড়ি’ না করে, ‘ভুলে যেতে’ বলেন।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুপ্রভাত হালদারের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া মেলেনি।

আর এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর খোরশেদ আলমের ভাষ্য, “খবর পেয়ে আমি আইন বিভাগে গিয়ে ওই ছাত্রকে আমার রুমে নিয়ে আসি। দুজনের কাছ থেকেই ঘটনাটি শুনেছি। বড় ধরনের কোন কিছুই হয়নি। শিক্ষক ছাত্রকে ডেকেছিলেন, ছাত্র তাতে সারা দেয়নি।”

এ ঘটনাকে ছাত্র শিক্ষকের মধ্যে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, অভিযোগ যখন দিয়েছে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে উপাচার্য সাদেকুল আরেফিনেরও কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।