‘ভাইয়ের চিকিৎসা হয়নি টাকার অভাবে, তখন থেকেই চিকিৎসক হতে চেয়েছি’

‘টাকার অভাবে ভাইয়ের চিকিৎসা হয়নি বলে চিকিৎসক হতে চেয়েছিলেন’ ফেনীর দাগনভূঁঞা উপজেলার শিক্ষার্থী সুমি রায়, কিন্তু মেডিকেল কলেজে সুযোগ পেয়েও ভর্তি নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 April 2022, 03:32 AM
Updated : 9 April 2022, 12:23 PM

উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের পূর্ব হীরাপুর গ্রামের পরিমল মিয়ার মেয়ে সুমি রায়।

সুমির চাচা নন্দলাল রায় বলেন, সুমি ১০০ নম্বরের ভর্তিপরীক্ষায় সুমি ৮৩.২৫ নম্বর পেয়ে ২৭৭ মেধাক্রম অর্জন করেছেন। এর আগে অন্যান্য পরীক্ষায়ও তিনি ভাল ফল করেন। সিলোনিয়া হাইস্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ ও ফেনী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসিতে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষক ও সহপাঠীদের থেকে সহযোগিতা পেয়েছেন সুমি।

চাচা জানান, সুমির বাবা সিলোনিয়া বাজারে পান বিক্রি করে সংসার চালান। মা গৃহিণী। বাবার আয়ে কোনোভাবে সংসার চলে। এইচএসসির পর আত্মীয়দের সহযোগিতায় কোচিং করে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেন সুমি।

সুমিরা তিন ভাইবোন ছিলেন। থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত হয়ে তার বড় ভাই শৈশবেই মারা যায়। সুমির ছোট ভাই সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।

সুমি বলেন, “অর্থের অভাবে ভাইয়ের চিকিৎসা হয়নি। তখন থেকেই চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে ‍চেয়েছি।”

সুমির মা-বাবার আনন্দের মধ্যে রয়েছে দুশ্চিন্তা। মেডিকেলে ভর্তির খরচ জোগাবেন কিভাবে তাই নিয়ে তার বাবা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।

সুমি বলেন, মে মাসে মেডিকেলে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে। ভর্তি ও হোস্টেলে থাকার জন্য প্রথমেই অন্তত ২৫ হাজার টাকার প্রয়োজন। অতীতের মতো আত্মীয়রা তাকে সহায়তা করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন। কেউ সহযোগিতা করলে তিনি নেবেন বলে জানান।