শহরের হাঁটির পাড়ে খান ক্লিনিকে সোমবার রাত ১০টার দিকে সিজারের মাধ্যমে শিশু দুটির জন্ম হয় বলে সাবেক সিভিল সার্জন ও সার্জারি বিশেষজ্ঞ ডা. তৌফিকুল ইসলাম জানান।
মা নাসরিন বেগম (২৫) সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের খামার শিবরাম গ্রামের রানা মিয়ার স্ত্রী।
খান ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবার দুপুরে ওই প্রসূতিকে ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়; রাত ১০টার দিকে ডা. তৌফিকুল ইসলাম সিজার করেন।
অপারেশনে পিছনে নিচের অংশে জোড়া লাগানো দুটি মেয়ে শিশুর জন্ম হয় বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুর-এ-মোর্শেদ বলেন, চিকিৎসা শাস্ত্রে এটিকে ‘কনজয়েনড টুইন বেবি বা সংযুক্ত জমজ শিশু’ বলা হয়।
বাংলাদেশে জোড়া লাগানো বেশ কয়েকটি শিশুর অস্ত্রোপাচার হয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, অস্ত্রোপাচারে সফলতার ঘটনাও রয়েছে। শিশু দুটির বিষয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারী বিভাগের চিকিৎসকরা ভালো সমাধান দিতে পারবেন।
নীলফামারীর জোড়া লাগানো দুই বোন লাবিবা ও লামিসাকে সোমবার অপারেশনে পৃথক করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। তারা এখন সুস্থ রয়েছে বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।