কিশোরগঞ্জে পাগলা মসজিদের দান বাক্সে রেকর্ড পৌনে ৪ কোটি টাকা

কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দান বাক্সে এবার রেকর্ড পৌনে চার কোটি টাকা পাওয়া গেছে।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 March 2022, 05:13 PM
Updated : 12 March 2022, 05:13 PM

তার বাইরে ‘ডলার, পাউন্ড, রিয়াল, দিনার, রিঙ্গিত ও দিনারসহ বিভিন্ন বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকারও’ পাওয়া গেছে বলে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি কিশোরগঞ্জের ডিসি মোহাম্মদ শামীম আলম জানিয়েছেন।

শনিবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান বাক্স খোলা হয়। বাক্স থেকে ১৫টি বড় বস্তায় টাকা ভরে নিয়ে শুরু হয় গণনা।

প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে টাকা গণনায় অংশ নেন মসজিদ ও মাদ্রাসার শতাধিক ছাত্র-শিক্ষক, রূপালী ব্যাংকের ৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ ও আনসার সদস্য, মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও সার্বক্ষণিক দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

ডিসি ছাড়াও রুপালী ব্যংকের ময়মনসিংহ বিভাগের জিএম হেমন্ত কুমার দাসের তত্ত্ববধানে টাকা গণনার কাজ সম্পন্ন করা হয়।

ডিসি শামীম আলম বলেন, “এবার দান বাক্সে তিন কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার ২৯৫ টাকা পাওয়া গেছে। এটা মসজিদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে গত বছর ৬ নভেম্বর জমা পড়ে তিন কোটি সাত লাখ ১৭ হাজার ৫৮৫ টাকা।”

এই টাকা দিয়ে পাগলা মসজিদ ও মসজিদ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও গোরস্থানের ব্যয় মেটানো হয়। তাছাড়া জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় সহায়তার পাশাপাশি গরিব শিক্ষার্থী ও দুস্থদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয় এবং বিভিন্ন সামাজিক কাজেও ব্যয় করা হয় বলে জানান ডিসি শামীম আলম।

সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজবিশিষ্ট তিনতলা মসজিদ কিশোরগঞ্জের অন্যতম ঐতিহাসিক স্থাপনা। জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে নরসুন্দা নদীর তীরে হারুয়া এলাকার মসজিদটি প্রায় চার একর জায়গা জুড়ে রয়েছে।

কথিত আছে, বাংলার বার ভুঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁর আমলে দেওয়ান ‘জিলকদর খান’ ওরফে ‘জিল কদর পাগলা’ ওই নদীর তীরে নামাজ পড়তেন। পরে সেখানে মসজিদ নির্মিত হয়। ‘জিল কদর পাগলার’ নাম অনুসারে মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ নামে পরিচিতি পায়।