এই পুরস্কারের ঘোষণা দিয়ে বিজিবি বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি এবং কক্সবাজারের উখিয়ায় পোস্টারিং করেছে।
পোস্টারে 'অস্ত্র হাতে থাকা নবী হোসনের' একটি ছবি ছাপানো হয়।
রোববার রাতে বিজিবির কক্সবাজার ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হোসাইন কবির বলেন, সীমান্তে মাদক ও অস্ত্রপাচারসহ নানা চোরাকারবারের অন্যতম হোতা রোহিঙ্গা ‘সন্ত্রাসী’ নবী হোসেন। তার বিরুদ্ধে এসব অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। তাকে ধরা সম্ভব হলে সীমান্তে সংঘটিত অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রিত হবে।
নবী হোসেনকে রোহিঙ্গা নাগরিক উল্লেখ করলেও তার অবস্থান মিয়ানমারে নাকি বাংলাদেশে এ ব্যাপারে নিশ্চিত তথ্য দিতে পারেনি বিজিবি।
এসব পোস্টার শুক্রবার থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম এবং উখিয়া উপজেলার পালংখালীসহ বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকায় সাঁটানো হয়, যা স্থানীয়দের নজরে আসার পর থেকে নানা মহলে আলোচনার সৃষ্টি হয়।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হোসাইন কবির বলেন, “নবী হোসেন একজন চিহ্নিত মাদকপাচারি ও ইয়াবা সম্রাট। এছাড়া সে নাফ নদীতে জেলেদের মাছ লুট ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত।
"নবী হোসনেকে ধরতে ১০ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা দিয়ে বিজিবি একটি পোস্টার ছাপিয়েছে। এ ধরনের পোস্টার সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় বিজিবি সাঁটিয়ে দেওয়া হয়।"
বিজিবির এ কর্মকর্তার ভাষ্য, "সীমান্ত দিয়ে নবী হোসেনের মাধ্যমেই সবচেয়ে বেশি ইয়াবার চালান পাচার হয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মজুদ হয়। সম্প্রতি উখিয়া সীমান্তে গোলাগুলির পর তার গোপন আস্তানা থেকে ক্রিস্টাল মেথ আইসের সবচেয়ে বড় চালান উদ্ধার করা হয়। এছাড়া সে অস্ত্র পাচার, অপহরণ ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধে জড়িত। এসব অভিযোগে নবী হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।"
মেহেদী হোসাইন কবির বলেন, "নবী হোসেনকে ধরা সম্ভব হলে সীমান্তে অপরাধ প্রবণতা অনেকখানি কমে যাবে। তার নেতৃত্বে অপরাধীদের রয়েছে বড় একটি সংঘবদ্ধ দল।"
বিজিবির কর্মকর্তা মেহেদী হোসাইন কবির বলেন, ধরিয়ে দিতে পুরস্কার ঘোষিত সন্ত্রাসী নবী হোসেন সীমান্তে অপরাধ সংঘটন করলেও তার অবস্থান মিয়ানমারে নাকি বাংলাদেশে; বিজিবি এখনো নিশ্চিত নয়। তবে তা নিশ্চিত হতে বিজিবি কাজ করছে। তাকে ধরা সম্ভব নানা তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হবে।