বৃহস্পতিবার দুপুরে মাথাবিহীন লাশটি ময়নাতদন্তের পর পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে ফুলতলা থানার ওসি ইলিয়াস তালুকদার জানিয়েছেন।
নিহত মুসলিমা খাতুন (২০) ফুলতলা উপজেলায় ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় একটি কারখানায় কাজ করতেন। সাতক্ষীরায় তার বাবার বাড়ি।
লাশ উদ্ধারের পর হাত-পা ও কাপড়চোপড় দেখে শনাক্ত করেছে পরিবার।
মুসলিমার বড় বোন আকলিমা বেগম বলেন, দুই বছর আগে সাগর নামে যশোরের এক ব্যক্তির সঙ্গে মুসলিমার বিয়ে হলেও ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। পরে মুসলিমা ফুলতলা এলাকায় আইয়ান জুট মিল নামে একটি কারখানায় শ্রমিকের কাজ শুরু করেন।
“মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুসলিমার ভাড়া বাসায় গিয়ে তাকে খুঁজে পাইনি। এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিভিন্ন জায়গায় খুঁজেও তাকে পাওয়া যায়নি। আরও রাত হলে আমার মোবাইল ফোনে একটি এসএমএস পাঠায় মুসলিমা। তাতে লেখা ছিল, অজ্ঞাতনামা পাঁচ-ছয় যুবক মুসলিমাকে একটি বাগানে আটকে রেখেছে। কিন্তু মুসলিমাকে আমরা খুঁজে পাইনি।”
বুধবার দুপুরে খবর পেয়ে মুসলিমার বোনেরা গিয়ে মাথাবিহীন লাশ শনাক্ত করেন।
ওসি ইলিয়াস বলেন, বুধবার সকালে লাশ উদ্ধারের পর থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত সম্ভাব্য সব জায়গায় খুঁজেও পুলিশ মাথা উদ্ধার করতে পারেনি। এ ঘটনায় নিহত মুসলিমার বড় বোন আকলিমা বেগম বাদী হয়ে ফুলতলা থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ মাথা উদ্ধারসহ খুনি ধরার চেষ্টা করছে।
“এক ব্যক্তি মুসলিমাকে উত্ত্যক্ত করতেন বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাকে খুঁজছে পুলিশ।”
তাছাড়া পুলিশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে গেছে বলে জানান ইলিয়াস তালুকদার।