রোববারের ভোটে প্রথমবারের মতো নূর হোসেনের ওয়ার্ডে তার ছোট ভাইকে কাউন্সিলর হিসেবে বেছে নিয়েছেন ভোটাররা।
তবে যে নজরুল ইসলামকে খুনের দায়ে নূর হোসেন দণ্ডিত হয়েছেন, সেই নজরুলের শ্যালক শফিকুল ইসলাম এবার পাশের ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেও হেরেছেন।
আর ৩ নম্বর ওয়ার্ডে তৃতীয়বারের মতো জয় পেয়ে কাউন্সিলর হয়েছেন নূর হোসেনের ভাতিজা শাহজালাল বাদল।
রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা খানম মেয়র পদের ভোটের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করলেও সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরদের ভোটের ফল ঘোষণা করেননি।
তবে প্রার্থীরা তাদের কেন্দ্রের পোলিং এজেন্টদের কাছ থেকে পাওয়া ভোটের হিসাব দিয়েই জয়-পরাজয় জেনে যান।
সোমবার দুপুরে রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার এবং সদর উপজেলা সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা আফরোজা খানমের স্বাক্ষরে কাউন্সিলর পদে ভোটের বেসরকারি ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
ফলাফল অনুয়ায়ী, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে পাঁচটি কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৫ হাজার ৩৯৩। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন নয় হাজার ৮১৮ জন। বাতিল হয়েছে ১৮টি ভোট।
৪ নম্বর ওয়ার্ডে নূর হোসেনের আপন ছোট ভাই নূর উদ্দিন ঠেলাগাড়ি প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৭৮১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নজরুল ইসলাম ঘুড়ি প্রতীকে পেয়েছেন তিন হাজার ৫৫ ভোট। নূর উদ্দিন ৭২৬ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।
অপরদিকে ২ নম্বর ওয়ার্ডে নজরুলের শ্যালক শফিকুল ইসলামসেহ আটজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই ওয়ার্ডে মোট ভোটার ২০ হাজার ৯৫০। এর মধ্যে ১০ হাজার ২১৮ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। বাতিল হয়েছে ২২ ভোট।
ফলাফলে দেখা যায়, মো. ইকবাল হোসেন লাটিম প্রতীকে চার হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শফিকুল পেয়েছেন দুই হাজার ৯০২ ভোট। ইকবাল জিতেছেন এক হাজার ৪০৭ ভোটে।
২০১৪ সালের শেষ এপ্রিল নজরুল ইসলাম খুন হওয়ার পর উপনির্বাচনে ২ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর হয়েছিলেন তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি। ২০১৬ সালের দ্বিতীয় সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থী হলেও জয় পাননি তিনি। এবার আর বিউটি প্রার্থী হননি, প্রার্থী হয়েছিলেন তার ভাই শফিকুল।