মাদারীপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাড়ে ৪শ শিক্ষক পদ খালি

মাদারীপুর জেলার সাড়ে চার শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষকের পদ খালি রয়েছে।

মাদারীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Dec 2021, 03:40 PM
Updated : 20 Dec 2021, 04:45 PM

এ কারণে বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদানে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

এসব শূন্য পদের বিপরীতে শিক্ষক চেয়ে ঢাকায় তালিকা পাঠানো হয়েছে বলে জেলায় প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসিরউদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক পদে ১৪৩টি ও সহকারী শিক্ষক পদে ৩২১টি পদে শিক্ষক নেই।

এদের মধ্যে সদর উপজেলায় প্রধান শিক্ষক ৪৩ ও সহকারী শিক্ষক ১০৬, রাজৈরে প্রধান শিক্ষক ৯ ও সহকারী শিক্ষক ৬৫, শিবচরে প্রধান শিক্ষক ৪০ ও সহকারী শিক্ষক ৭৮ এবং কালকিনিতে (নবগঠিত ডাসার উপজেলাসহ) প্রধান শিক্ষক ৫১ ও সহকারী শিক্ষকের ৭২ পদ খালি রয়েছে।

সদর উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের ৫ নম্বর ঘটমাঝি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফাতেম খন্দকার বলেন, “আমাদের স্কুলের প্রধান শিক্ষক করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর থেকে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আামি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি।”

নবগঠিত ডাসার উপজেলার ১৮ নম্বর বাঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়

তাদের স্কুলে ১০ শিক্ষকের বিপরীতে একটি পদ শূন্য রয়েছে বলে তিনি জানান।

তার ভাষ্য, প্রধান শিক্ষক হলে স্কুলের যাবতীয় অফিসিয়াল কাজকর্ম করতে অনেক সুবিধা হয়, যা ভারপ্রাপ্ত হিসেবে সহজে করা যায় না।

কালকিনি ভেঙ্গে নবগঠিত ডাসার উপজেলার বালিগ্রাম ইউনিয়নের ১৮ নম্বর বাঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহম্মদ গোলাম আজম বলেন, “উপজেলায় আমরা অনেকই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হওয়ার কারণে নিজেরা মানসিক শক্তিটা কম পাই।”

এসব বিদ্যালয়ে দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করার দাবি জানান এই শিক্ষক।

কালকিনি উপজেলার ১৮৪ নম্বর ধানুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, “আমার স্কুলে পাঁচ জন শিক্ষকের বিপরীতে চার জন আছেন। গত দুই বছর ধরে একজন শিক্ষকের পদ খালি আছে।”

এই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী খাদিজা ও চাঁদনী আক্তার জানায়, তাদের একজন ‘ম্যাডাম’ নেই। সব ‘ম্যাডাম’ থাকলে তাদের লেখাপড়া আরো ভালো হতো।”

মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসিরউদ্দিন আহমেদ বলেন, “জেলায় প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদের তালিকা আমরা ঢাকায় পাঠিয়ে রেখেছি। জাতীয়ভাবে সরকার এসব স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ না দেওয়া পর্যন্ত খালি থাকবে। সরকার যখন এসব পদে নিয়োগ দেবে, তখন শিক্ষক পাওয়া যাবে। এছাড়া এখানে আমার আর কোনো কিছু করার নেই।”