পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুরে এমপি ফিরোজের বিরুদ্ধে মামলা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেকে হত্যার পর তার ছবি রাস্তায় ফেলে পদদলিত করার অভিযোগে আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আ স ম ফিরোজের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে পটুয়াখালীর আদালতে।

পটুয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Dec 2021, 01:05 PM
Updated : 14 Dec 2021, 05:55 PM

মঙ্গলবার বাউফল উপজেলার বাউফল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. জাহিদুল হক (৪৬) মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বাদী মো. জাহাংগীর হোসেন জানান, পটুয়াখালীর মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. জামাল হোসেন মামলাটির আদেশের জন্য আগামী ১৯ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

আ স ম ফিরোজ পটুয়াখালী-২ (বাউফল) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য এবং বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় অফিসে বসে গত ৯ ডিসেম্বর [শুক্রবার] বেলা পৌনে ১২টার দিকে জাতীয় সংসদ সদস্য এবং সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জাতির পিতার হত্যাকাণ্ডের দিন বঙ্গবন্ধুর ছবি পদদলিত করার কথা জানান।

আলাপকালে আ স ম ফিরোজ বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার খবর বরিশালে পৌঁছালে বঙ্গবন্ধুর ছবিতে জুতা, ঝাঁটা, লাঠি নিয়ে আনন্দ মিছিল, বরিশাল আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর, বঙ্গবন্ধুর ছবি রাস্তায় এনে ভাঙচুর, ব্রজমোহন কলেজের অধ্যক্ষের কক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি রাস্তায় এনে মাটিতে ফেলে পদদলিত করেন।

এই মামলায় ওই সময়ে বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাংগীর কবির নানক, ১৯৭৫ সালের বরিশাল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খান আলতাফ হোসেন ভুলু, বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন ফরাজীসহ ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

বাদীর পক্ষে মো. জাহাংগীর হোসেন ছাড়াও মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সৈয়দ জাহিদুল ইসলাম।

এই বিষয়ে সাংসদ আ স ম ফিরোজ অভিযোগ অস্বীকার করে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি ১৯৭৯ সালে সর্বকনিষ্ঠ হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এ পর্যন্ত সাত বার তিনি এমপি হন। একটি মহল ঈর্ষান্বিত হয়ে একাজ করছে।   

তিনি বলেন, “আমি বিব্রত না; অপেক্ষা করেন, রেজাল্ট পাবেন।”