মুহিবুল্লাহ হত্যা: রিমান্ডে আরও তিন রোহিঙ্গা

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইদিনের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2021, 08:45 AM
Updated : 26 Oct 2021, 09:41 AM

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার উখিয়ার জেষ্ঠ্য বিচারিক হাকিম মুহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এ আদেশ দেন।

আসামিরা হল- উখিয়ার ১-ইস্ট লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৮ ব্লকের বাসিন্দা আব্দুল মাবুদের ছেলে মো. রশিদ ওরফে মুরশিদ আমিন, ১-ওয়েস্ট লম্বাশিয়া ক্যাম্পের বি-ব্লকের বাসিন্দা নুর সালামের ছেলে নুর মোহাম্মদ ও একই ক্যাম্পের বাসিন্দা ফজল হকের ছেলে মো. আনাছ।

গত ২৩ অক্টোবর ভোরে উখিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে অভিযান চালিয়ে মুহিবুল্লাহ হত্যা ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এই তিন আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন)।

এদের মধ্যে গ্রেপ্তার আজিজুল হক ইতিপূর্বে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিল। যার বিরুদ্ধে মুহিবুল্লাহ হত্যায় সরাসরি অংশগ্রহণের তথ্য জানিয়েছিল এপিবিএন।

সালাহ উদ্দিন বলেন, তিন আসামিকে সোমবার (২৫ অক্টোবর) আদালতে তুলে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। এ সময় বিচারক রিমান্ড শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করে আদেশ দেন।

রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া এই তিন আসামিকে আগামী ১০ কার্য-দিবসের মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিচারক আদেশ দিয়েছেন।

রোহিঙ্গা নেতা মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার ৯ জন আসামির মধ্যে ৮ জনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ায় লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৪৮ বছর বয়সী মুহিবুল্লাহকে গুলি চালিয়ে হত্যা করে একদল অস্ত্রধারী। তিনি ছিলেন ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’ নামে রোহিঙ্গাদের একটি সংগঠনের চেয়ারম্যান।

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডুর এলাকার স্কুলশিক্ষক মুহিবুল্লাহ পশ্চিমা সংবাদ মাধ্যমে ‘রোহিঙ্গাদের কণ্ঠস্বর’ হিসেবে বিবেচিত ছিলেন।

মুহিবুল্লাহকে হত্যার ঘটনা আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে। জাতিসংঘ, ইউএনএইচসিআরসহ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।

রোহিঙ্গাদের আরেকটি সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) মুহিবুল্লাহকে হত্যা করেছে সন্দেহ তার পরিবারের।