মঙ্গলবার নীলফামারী শহরের মশিউর রহমান কলেজ মাঠে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
যারা মুক্তিযদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধী ছিল, আছে তাদের নামে কোনো ধরনের প্রতিষ্ঠান থাকবে না মন্তব্য করে মোজ্জাম্মেল বলেন, “আমাদের মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ বিরোধী ছিল মশিউর রহমান জাদু মিয়া। আজ তার নামে নীলফামারীতে কলেজ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আর সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঠে আজ আমাকে বক্তৃতা দিতে হচ্ছে। এটার জন্য আমি লজ্জিত।
“আমি জানি না সরকার বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে এই প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তনের জন্য যদি আবেদন করে থাকে তাহলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কীভাবে ঘুমিয়ে রয়েছে; তা আমি বুঝতে পারছি না।”
তিনি আরও বলেন, “যারা আমার মহান মুক্তিযুদ্ধে বিরোধিতা করেছে প্রত্যক্ষভাবে তাদের নামে প্রতিষ্ঠান হবে; আর ওই প্রতিষ্ঠানে আমাদের সন্তান পড়বে - এটা কখনোই হতে পারে না। জাদু মিয়ার মত দেশ বিরোধীদের নামে কোনো প্রতিষ্ঠান থাকবে না বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশে।”
মন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসলেন তারা জয় বাংলা শ্লোগান নিষিদ্ধ করলেন। যুদ্ধের যে হুঙ্কার, যে রণধ্বনি, যে ধ্বণিতে আমরা পাকিস্তানিদের পরাজিত করেছিলাম সেই জয় বাংলা ধ্বনিকে নিষিদ্ধ করে খুনি জিয়া, খুনি মোস্তাক চক্র। স্বাধীন বাংলাদেশকে মিনি পাকিস্তান বানানোর জন্য পাকিস্তানি কায়দায় বাংলাদেশ জিন্দাবাদ চালু করেছিল।”
দুপুরে মন্ত্রী নীলফামারী সদর ও সৈয়দপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স উদ্বোধন শেষে মশিউর রহমান কলেজ মাঠে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
জেলা প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী-২ আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য রাবেয়া আলীম, সাবেক সাংসদ জোনাব আলী, সংসদ সদস্য শামসুদ্দোহা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।