তার চোখের জলও মন গলাতে পারেনি পরীক্ষাকেন্দ্র সংশ্লিষ্টদের। তাই রাগে-ক্ষোভে প্রবেশপত্র ছিঁড়ে ফেলেন গোপালগঞ্জের বাসিন্দা তিথি রায় নামের এই পরীক্ষার্থী।
শনিবার বেলা ১২টার দিকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর খোরশেদ আলম জানান, এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার বরিশাল বিভাগের কেন্দ্র করা হয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। শুক্রবার থেকে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শনিবার ছিল ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষাবিধি অনুযায়ী প্রত্যেক পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষা শুরুর নির্ধারিত সময়ের কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বলা হয়। বেলা ১১টায় ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়।
“কিন্তু ওই পরীক্ষার্থী (তিথি রায়) কেন্দ্রে আসেন সাড়ে ১১টার দিকে।”
তিথির মা গীতা রায় বলেন, সকালে তিনি ও তিথি গোপালগঞ্জ থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। বরিশাল নগরীর চৌমাথা ও সাগরদী এলাকায় তীব্র যানজট থাকায় কেন্দ্রে পৌঁছতে বিলম্ব হয় তাদের।
“বিষয়টি কেন্দ্র প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বুঝিয়ে বলার পরও মেয়েকে পরীক্ষার হলে বসার অনুমতি দেওয়া হয়নি।”
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ছোট বেলা থেকেই মেয়ের স্বপ্ন ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করবে। তাই ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য দিন-রাত বই নিয়েই ছিল। কিন্তু পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় মেয়েটার স্বপ্ন ভেঙেছে।
“ওর কান্না থামছেই না। ক্ষোভে-দুঃখে প্রবেশপত্রটিও ছিঁড়ে ফেলেছে।“