সদর উপজেলার বৌলতলী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের এসআই মো. আজিজুর রহমান বলেন, অমিতোষ হালদার নামে এই শিক্ষার্থী বুধবার রাতে মারা যান বলে খবর পেয়ে তারা গিয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠান।
অমিতোষ সদর উপজেলার পাটিকেলবাড়ি পূর্বপাড়া গ্রামের ভুপেন হালদারের ছেলে।
ভুপেন হালদার বলেন, তার ছেলে ঢাকার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণযোগাযো বিভাগের সম্মান শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
“বুধবার রাতে স্বাভাবিকভাবেই নিজের ঘরে ঘুমাতে যায় অমিতোষ। ভোর সাড়ে ৫টায় আমি ঘুম থেকে জেগে বাইরে বের হতে গিয়ে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ পাই। অমিতোষ তার কক্ষে নেই দেখতে পাই। পরে প্রতিবেশীদের মোবাইল ফোনে ডেকে এনে দরজা খুলে বের হই। বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে গিয়ে অমিতোষকে একটি মেহগনি গাছের ডালে ঝুলতে দেখে চিৎকার দেই । প্রদীবেশীরা এসে অমিতোষকে গাছ থেকে নামায়।”
অমিতোষ মাস খানেক আগে ঢাকা থেকে বাড়ি আসেন জানিয়ে তিনি বলেন, “তখন থেকেই তার মন ভাল ছিল না। ঢাকার কোনো ঘটনায় হয়ত সে মর্মাহত ছিল। আগামী ৭ অক্টোবর তার পরীক্ষা শুরুর কথা ছিল । ঢাকা যাওয়ার জন্য বুধবার রাতে অমিতোষ ব্যাগ গোছায়। তবে কী কারণে সে আত্মহত্যা করেছে তা আমরা এখনও জানাতে পারিনি। ”
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরাদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছেন এসআই আজিজুর রহমান। পুলিশ এখনও মৃত্যুর কারণ খুঁজে পায়নি বলেও তিনি জানান।