মোবাইল ফোন ছিনতাই করার জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন শিবচর থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেন।
নিহত রতন (৮) উপজেলার কাদিরপুর ইউনিয়নের চরকান্দী এলাকার জসিম মোল্লার ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, এলাকার দুই শিশু মঙ্গলবার সকালে মোবাইল ফোনে লুডু খেলার সময় মেহেদী হাসান (১৯) নামে এলাকার এক তরুণ যোগ দেন। খেলার একপর্যায়ে জয়-পরাজয় নিয়ে মেহেদীকে গাল দেয় এক শিশু। মেহেদী ওই দিন বিকেলে কাঁঠালবাড়ি এলাকায় রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়ার কথা বলে দুই শিশুকে নিয়ে যায়। এক শিশুর সঙ্গে তার মায়ের দামি মোবাইল ফোন ছিল। পরে রতনের লাশ মেলে।
তাছাড়া অন্য শিশুকেও গলায় তার পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। শিশুটি পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ওসি মিরাজ বলেন, পুলিশ মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করেছে। মেহেদীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
“রতনকে হত্যা ও আরেক শিশুকে হত্যাচেষ্টার কথা স্বীকার করেছেন মেহেদী । মোবাইল ফোন ছিনতাই করার জন্য এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে। খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরেও হতে পারে। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।”
মেহেদী শিবচর উপজেলার দ্বিতীয় খণ্ড ইউনিয়নের কাচাই মাতবরেরকান্দি এলাকার বিদ্যুৎ মিয়ার ছেলে।
এ ঘটনায় বুধবার সকালে নিহত রতনের বাবা জসিম মোল্লা বাদী হয়ে মেহেদীকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন বলে জানান ওসি।