সোমবার সাগরের মহিপুরা পয়েন্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন ডুবে যাওয়া ট্রলার থেকে বেঁচে ফিরে আসা সিরাজ মাঝি।
নিখোঁজ আট জেলে হলেন নীরব, রুবেল, সিরাজ, ইউসুফ, শহীদ ঝিলাদার, রফিকুল ইসলাম, বজলুর রহমান ও দেলোয়ার চৌকিদার।
ট্রলারের মালিকসহ নিখোঁজ এই আট জেলের বাড়ি ভোলা সদরের ভেলুমিয়া ইউনিয়নে বলে জানান সিরাজ।
সিরাজ মাঝি জানান, তারা ১১ জেলে ও মাঝিমাল্লা গত রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় তারা মাছ শিকারের উদ্দেশ্যে বঙ্গোপসাগরে যান। মাছ ধরার জাল অর্ধেক তোলার পর হঠাৎ ঝড়ের কবলে পড়ে তাদের ট্রলারটি উল্টে যায়।
তিনি বলেন, এ সময় তারা সবাই ট্রলারের ভেতরে কেবিনে অবস্থান করছিলেন। তাদের মধ্যে তিন জন জীবিত বের হয়ে আসেন। তারা ট্রলারে থাকে জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামের সাহায্যে ভাসতে থাকেন। এক পর্যায়ে অন্য একটি মাছ ধরার ট্রলার তাদের উদ্ধার করে চরফ্যাশনের সামরাজ ঘাটে নামিয়ে দেয়।
বাকি আট জেলে কোথায় কীভাবে আছেন তা জানা যায়নি।
ভেলুমিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মাস্টার জানান, ভেলুমিয়া ইউনিয়ন থেকে ১১ জন জেলে সাগরে মাছ শিকারে গিয়ে ঝড়ের কবলে পড়ে। সেখান থেকে তিন জেলে জীবিত ফেরত আসেন। এখনও আটজন নিখোঁজ রয়েছেন।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী বলেন, “আমরা বিষয়টি জানতে পেরেছি। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের জন্য কোস্ট গার্ডকে জানানো হয়েছে। তারা উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।”
তিনি আরও জানান, ঝড়ের কবলে পড়া নিখোঁজ ও জীবিত ফিরে আশা জেলে পরিবারকে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হবে।
কোস্ট গার্ড দক্ষিণ জোনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা মনির হোসেন জানান, নিখোঁজ জেলেদের সন্ধানে কোষ্ট গার্ড কাজ করছে।