শুক্রবার বিকালে একটি প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন ও প্রশিক্ষণ সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য দেওয়ার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মুরাদ হাসান বলেন, “অগাস্ট মাসে যে অনুষ্ঠানের ব্যানারে স্বাধীনতার মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি নেই, সে অনুষ্ঠানে আমি বক্তব্য দিতে পারি না।”
শেখ হাসিনার ধারাবাহিকতার কারণে দেশ অগ্রগতির সকল সূচকে যুগান্তকারী মাইলফলক স্পর্শ করেছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই বাংলাদেশ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ। দেশরত্ন শেখ হাসিনা অনগ্রসর ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে।
কর্মমুখী প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বৃদ্ধি ও আয়বর্ধনমূলক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত করে তাদের সমাজের মূলস্রোতধারায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
বিকালে জামালপুর মির্জা আজম অডিটোরিয়ামে ‘অনগ্রসর ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য আত্মকর্মসংস্থানমূলক কাজের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন এবং প্রশিক্ষণ সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান হয়।
জামালপুর সমাজ সেবা অধিদপ্তর ও গ্লোবাল রুরাল এনভায়রনমেন্ট সোসাইটি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক মোর্শেদা জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সংসদ সদস্য মির্জা আজম, সংসদ সদস্য মোজাফফর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী ও পৌর মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু।