দিনাজপুরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শিশির কুমার বসু বুধবার সন্ধ্যায় এই আদেশ দেন।
চিরিরবন্দর উপজেলার দশ মাইল এলাকা থেকে মঙ্গলবার সিআইডির তিন সদস্যসহ পাঁচ জনকে আটক করা হয়। এর আগে তিন জনের আটকের খবর পাওয়া গিয়েছিল।
“পরে আটকদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সন্ধ্যায় আদালতে হাজির করলে বিচারক জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।”
মামলার পাঁচ আসামি হলেন রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবীর, এএসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক, মাইক্রোবাস চালক হাবিবুর ও সিআইডির সোর্স খাসিউর রহমান।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত সোমবার (২৩ অগাস্ট) রাত ৮টার দিকে ৭-৮ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দারাই গ্রামের শামসুল আলমের খালু লুৎফর রহমানের বাড়িতে প্রবেশ করে।
শামসুল আলম বলেন, এরপর তারা লুৎফরের স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীরকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে চলে যায়। পরে লুৎফরের পরিবারের কাছে মা-ছেলের মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে তারা।
মামলার অভিযোগে আরও বলা হয়, অপহরণকারীদের দেওয়া তথ্যে আট লাখ টাকা নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে দিনাজপুর সদর উপজেলার বাশেরহাটে যান লুৎফরের পরিবারের সদস্যরা। পরে অপহরণকারীরা টাকা নিতে এলে এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া করে। তখন তারা মাইক্রোবাসটি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।
খবর পেয়ে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের দশমাইল এলাকা থেকে পুলিশ সিআইডির তিন সদস্য ও মাইক্রোবাস চালককে আটক করে। পরে রাতে সিআইডির সোর্স খাসিউর রহমানকে আটক করা হয়।