মা-ছেলেকে ‘অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি’, সিআইডির এএসপিসহ ৩ পুলিশ আটক

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর থেকে এক নারী ও তার ছেলেকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এক কর্মকর্তাসহ তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

দিনাজপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2021, 12:07 PM
Updated : 25 August 2021, 12:42 PM

মঙ্গলবার বিকালে দিনাজপুরের দশমাইল থেকে তাদের আটক করা হয় বলে চিরিরবন্দর থানার ওসি সুব্রত কুমার জানান।

আটকরা হলেন- রংপুর সিআইডির এএসপি সারোয়ার কবির, এসআই হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক।

এ ঘটনায় ‘অপহরণে ব্যবহৃত’ একটি মাইক্রোবাসসহ চালককেও আটক করা হয়েছে বলে জানান ওসি।  

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত সোমবার (২৩ অগাস্ট) রাত ৮টার দিকে ৭-৮ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি নিজেদের পুলিশ পরিচয় দিয়ে চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দারাই গ্রামের শামসুল আলমের খালু লুৎফর রহমানের বাড়িতে প্রবেশ করে।

শামসুল আলম বলেন, এরপর তারা লুৎফরের স্ত্রী জহুরা বেগম ও ছেলে জাহাঙ্গীরকে একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে চলে যায়। পরে লুৎফরের পরিবারের কাছে মা-ছেলের মুক্তিপণ হিসেবে ১৫ লাখ টাকা দাবি করে তারা।

“অপহরণকারীদের দেওয়া তথ্যে আট লাখ টাকা নিয়ে মঙ্গলবার বিকালে দিনাজপুর সদর উপজেলার বাশেরহাটে যায় তারা। পরে অপহরণকারীরা টাকা নিতে এলে এলাকাবাসী তাদের ধাওয়া করে। তখন তারা মাইক্রোবাসটি নিয়ে পালানোর চেষ্টা করে।”

খবর পেয়ে দিনাজুপরের চিরিরবন্দরের দশমাইল এলাকা থেকে পুলিশ অপহরণকারীদের আটক করে বলে শামসুল জানান।

ওসি সুব্রত বলেন, আটকদের পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণের মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

তবে জেলার পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলতে রাজি হননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর সিআইডির ভারপ্রাপ্ত এসপি আতাউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আটকদের মধ্যে একজন এএসপি, একজন এএসআই ও একজন কনস্টেবল রয়েছেন। তাদের মধ্যে এএসআই ও কনস্টেবল ২১ অগাস্ট থেকে দশদিনের ছুটিতে ছিলেন।

“তারা আমাকে না জানিয়ে একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে যান। এমনকি তারা সরকারি গাড়িও ব্যবহার করেননি এবং অনুমতি ছাড়া ভাড়া করা গাড়ি নিয়ে অপারেশনে যান।

তাদের আটকের পর পর আমি সেখানে রাতে গিয়েছিলাম।”

ঘটনাটি ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।