আমতলী থানার ওসি শাহআলম হাওলাদার জানান, রোববার গভীর রাতে কেওয়াবুনিয়া এলাকায় আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কে তারা হাতহত হন।
নিহতরা হলেন তালতলী আইসোটেক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজে থাকা সাংহাই ইলেকট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কোম্পানির নিরাপত্তা কর্মকর্তা লিওয়েন তাও, প্রকৌশলী লুজিকলং ও তাদের দোভাষী প্রকৌশলী মো. ফখরুল হাসান।
ফখরুল হাসান ঢাকার গুলশানের মো. আনিসুর রহমানের ছেলে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মাইক্রোবাসের চালক মো. মুসা মৃধা পটুয়াখালী সদর উপজেলার খলিশাখালী গ্রামের আব্দুস সালাম মৃধার ছেলে।
ওসি শাহআলম বলেন, ভাড়া করা মাইক্রোবাসে তারা ঢাকা থেকে তালতলী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে যাচ্ছিলেন। পথে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে রাস্তার পাশে খাদে পড়ে যায়। এতে তিনজনই ঘটনাস্থলে নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
তাছাড়া আহত গাড়িচালক কোভিড আক্রান্ত হওয়ায় তাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান ওসি শাহআলম।
ওই এলাকার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, গাড়ি খাদে পড়ার শব্দ শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে যান তিনি। গাড়িটি পানির মধ্যে ডুবে থাকায় কিছু করতে পারেননি। পরে পুলিশ এসে গাড়ির ভেতর থেকে তিনজনের মরদেহ ও চালককে উদ্ধার করে।
সড়কের মোড় ঘুরতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারালে গাড়ি খাদে পড়ে যায় বলে চালক মুসা মৃধা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
জেলার পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর মল্লিক বলেন, আইসোটেক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ ও চায়না দূতাবাস নিহত দুই নাগরিকের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার সব ব্যবস্থা করবে। আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ।