বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ভুঁইগড় এলাকায় তার বাড়ি থেকে দুটি হাইয়েস মাইক্রোবাসে করে এসে মেডিকেল টিম পরিচয় দিয়ে তাকে তুলে নেয় বলছেন স্বজনরা।
টিকা গ্রহীতা ওমর ফারুক (২৪) নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ভুঁইগড় এলাকার অটোরিকশা চালক জামাল হোসেন প্রধানের ছেলে। তার চার বয়সী এক ছেলে আছে।
তবে তার বোন ফারজানা আক্তার জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে ওমর ফারুক তার মা রহিমা বেগমের মোবাইলে ফোন করে হাসপাতালে সুস্থ থাকার এবং তাকে চিকিৎসার জন্য নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। চিকিৎসক আসলে তার চিকিৎসা শুরু হবে।
সেখানে ‘প্রথমে তাকে এক বুথে ফাইজারের এক ডোজ টিকা দেওয়া হয়’। ফারুক বুথের স্বাস্থ্য কর্মীদের কাছে পরবর্তী করণীয় জানতে চাইলে পরের বুথে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। সেখানে গেলে তাকে ‘আবার টিকা দেওয়া হয়’ এবং তাকে তৃতীয় বুথে পাঠায়। সেখানেও ‘তাকে আবারও টিকা দেওয়া হয়’।
ফারজানা বলছেন, টিকা নেওয়ার পর ওমর ফারুকের শরীরে থেমে থেমে সামান্য জ্বর, শরীরে ব্যথা হয়েছিল। এছাড়া ‘তেমন কোনো সমস্যা হয়নি’। তাকে ডাবের পানি, দুধ ও ডিম খাওয়ানো হয়েছিল।
তুলে নেওয়ার আগে হাসপাতালে যাওয়ার জন্য অনেকবার মোবাইলে ফোন আসে। ‘ভাই ভয়ে হাসপাতালের ফোন ধরেননি এবং যেতে চাননি’।
তবে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, মেডিকেল টিমের দুটি গাড়ির একটিতে লোকজনের কাছে অস্ত্র দেখেছেন।
এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন মোহাম্মদ ইমতিয়াজ বলেন, এ ধরণের ঘটনার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। কেউ আমাদেরকে বিষয়টি জানায়নি।