বুধবার সকাল ৮টা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত তাদের মৃত্যু হয় বলে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান।
এবং একই সময়ে ৭৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩২ জনের শরীরে নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। যার শনাক্তের হার ৩১.২২ শতাংশ।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে দশজনের করোনাভাইরাস পজেটিভ ছিল। আর বাকি ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে উপসর্গ নিয়ে।
আমাদের শয্যা সক্ষমতা ২৫০ বেডের হলেও করোনাভাইরাস রোগীদের জন্য ২শ বেড ব্যবহার করা হচ্ছে। এর মধ্যে করোনাভাইরাস পজেটিভ নিয়ে ২০২ ও করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ৮৭ মোট ২৮৯ জন ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছে।
নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও করোনাভাইরাসের রোগীদের সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলেও জানান তিনি।
তবে এ সময়ে গ্রামাঞ্চলে সংক্রমিত রোগীদের অসচেতনতাকে অধিক মৃত্যুহারের জন্য দায়ী বলে মনে করছেন এ স্বাস্থ্য কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, তারা আক্রান্ত হয়েও সময় মতো নমুনা পরীক্ষা না করা এবং অক্সিজেন লেভেল একেবারে নিম্ন পর্যায়ে এসে ঠেকে যাচ্ছে। তখনই আসছেন হাসপাতালে। হাসপাতালে আসার পর এসব রোগীদের সব রকম চিকিৎসা দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না।
চলমান লকডাউনে স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতার মধ্যেও যত দিন যাচ্ছে তত বেশি মানুষ বাইরে বের হচ্ছেন। কোন ভাবেই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না তারা।
এদিকে সরকারি বিধিনিষেধ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে বুধবার দিনভর অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জেলায় সেনা সদস্যদের টহলও দেখা গেছে।