বুধবার ভোর রাতে সীমান্ত পার হওয়ার সময় এ আটকের কথা বিজিবির ১৫ ব্যাটালিয়নের অধিন কাশিপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার ছাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন। তবে মামলার পর শিশুদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে আটকরা হলেন, নাগেশ্বরী উপজেলার বিন্যাবাড়ী গাগলা এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আব্দুল জলিল (৫২), তার স্ত্রী লিলিফা বেগম (৪৩), তাদের ছেলে লিমন মিয়া (১২), মেয়ে আফরিনা খাতুন (৮), একই উপজেলার কুটি বামনডাঙ্গা গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান (৩৭), তার স্ত্রী আনজু বেগম (৩১), সুখাতী বোর্ড ঘরের রুবেল হোসেন মেয়ে রুবিনা খাতুন (৫), কুটি বামনডাঙ্গার আব্দুল হাকিমের ছেলে হাফিজুর রহমান (৩৭), তার স্ত্রী আনিচা বেগম (৩৩), মেয়ে হামিদা খাতুন (৮), ছেলে রমজান আলী (৩) এবং উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে জাকির হোসেন ( ২২)।
সুবেদার ছাইদুল ইসলাম জানান, আটক এ বাংলাদেশিরা ভারতের দিল্লিতে ইটভাটায় কাজ শেষে দালালের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসার পথে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে আসে।
বুধবার দুপুরে বিজিবি বাদী হয়ে পাসপোর্ট আইনে ফুলবাড়ী থানায় একটি মামলা করে তাদের পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
ফুলবাড়ী থানার ওসি রাজীব কুমার রায় জানান, আটক ১২ বাংলাদেশির মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে বিজিবি বাদী হয়ে পাসপোর্ট আইনে মামলা করেছে। তাদের বুধবার আদালতের মাধ্যমে কুড়িগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
‘অপরাধ ও শিশু বিবেচনায়’ আটক পাঁচ শিশুকে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার মাধ্যমে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে শিশুদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।