জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিদ্যাবিল চা বাগানের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী তারা।
ফেলিক্স বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চা বাগান থেকে অবসর নেওয়ার পর বাড়িতে বসেই ছিলেন। আর জোছনার শখ ছিল ফুলবাগান করার। বেকার সময় কাজে লাগাতে তারা কিছু করার উদ্যোগ নেন।
ফেলিক্স বলেন, চা বাগানের ভেতরে অল্প একটু জায়গায় পাঁচ শতাধিক দৃষ্টি নন্দন চারা রোপণ করেছেন তারা। চারা রাখার কৌশলও তারা নান্দনিক করে তুলেছেন।
তারা জানান, তাদের বাড়িতে বিভিন্ন প্রজাতির ফুল, পাতাবাহার, গোলাপ, গাঁদা, চন্দ্র মল্লিকাসহ বিরল সব গাছ রয়েছে। রয়েছে বেশ কিছু বিরল অরকিড ও ক্যাকটাস।
জোছনা আরেং বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাগান করা তার শখ। তিনি যেখানে বেড়াতে যান, ভাল কোনো গাছ দেখেলে সংগ্রহের চেষ্টা করেন।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সমন্বয়ক তাজুল ইসলাম জাবেদ বলেন, “ফেলিক্স ও জোছনা এলাকায় সাড়া জাগানো কাজ করছেন। তাদের কাজ দেখলে মন ভাল হয়ে যায়। তাদের দেখাদেখি এখন অনেকেই ফেলনা জিনিস ব্যবহারে উৎসাহী হচ্ছেন।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “তাদের যে সামান্য জমি রয়েছে তারই সর্বোত্তম ব্যবহার করে বিভিন্ন রকমের সবজি চাষ করছেন তারা। তারা ঘরের ফেলনা জিনিস যেমন কাজে লাগিয়েছেন তেমনি বাড়ির সব জায়গাও কাজে লাগিয়ে সবজি ও ফুলের গাছ লাগিয়েছেন টবে।”