এদিকে, আদালতের নির্দেশে বিষয়টি পরীক্ষা করে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক প্রতিবেদন দাখিল করেছেন।
তবে প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
ওই মামলায় মিতু অধিকারীকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। ৩০ জুন উজিরপুর আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মজিবর রহমান বলেন, রিমান্ড শেষে ২ জুলাই মিতু অধিকারীকে আদালতে হাজির করার সময় তিনি খুঁড়িয়ে হাঁটছিলেন।
“এসময় আদালতের বিচারক মাহফুজুর রহমান খুঁড়িয়ে হাঁটার কারণ জানতে চাইলে মিতু পুলিশের বিরুদ্ধে তাকে শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেন।”
মজিবর রহমান আরও বলেন, “এরপর বিচারক একজন নারী কনস্টেবল দিয়ে ওই নারী আসামিকে পরীক্ষা করে নির্যাতনের প্রমাণ পান। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মিতু অধিকারীকে কারাগারে পাঠানো হয়।“
এ ঘটনায় আদালত তার যথাযথ চিকিৎসা প্রদান এবং তাকে নির্যাতনের বিষয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন বলে এই আইনজীবী জানান।
আদালতের নির্দেশে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম; তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
রিমান্ডে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে উজিরপুর থানার ওসি জিয়াউর আহসান বলেন, “মামলা থেকে রেহাই পেতে সব আসামিই এমন অভিযোগ করে থাকেন।”
বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহজাদা বলেন, রিমান্ডে নির্যাতনের ঘটনা ঘটলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।