জয়পুরহাট পুলিশ সুপার মাসুম আহম্মেদ ভূঁঞা বলেন, “জেলায় বিভিন্ন সময় আটক মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, ভটভটি, রিকশা-ভ্যান, পিক-আপ, ট্রাকসহ প্রায় ১২ হাজার যানবাহন আলামত হিসেবে রয়েছে।
এ সব যানবাহন সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থানা বা আদালতে না থাকার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “মোটরযানগুলোর গুণগত মান ঠিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, জয়পুরহাটের পাঁচটি থানা ও জেলা প্রশাসক চত্বরে খোলা আকাশের নিচে পড়ে থাকা যানবাহনের মধ্যে মোটরসাইকেল, প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, ট্রাক, পিক-আপসহ নানা ধরনের যান রয়েছে। বছরের পর বছর অযত্নে পড়ে থাকায় এসব যানবাহন অনেকাংশই অকেজো হয়ে গেছে। যানবাহানের কোনোটি রেজিস্ট্রেশন বিহীন এবং কোনোটি কোনো মামলায় আটক করা।
এ বিষয়ে জয়পুরহাট সদর থানার ওসি আলমগীর জাহান জানান, বিভিন্ন সময় পুলিশের হাতে আটক যানবাহনগুলোর প্রকৃত জিম্মাদার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালত। সেখানে পর্যাপ্ত স্থান সংকুলান না হওয়ায় এসব যানবাহন থানা চত্বরে রাখা হয়েছে।
“যেসব থানার মালামাল কম সেসব থানা থেকে যানবাহনগুলি সংশ্লিষ্ট আদালতের আলামতখানায় স্থানান্তর করা শুরু হয়েছে।”
আদালত চত্বরে ধারণ ক্ষমতার অভাবে এ মালামাল স্থানান্তর সম্ভব হয়নি, কয়েকটি থানা চত্বরেও ঠাসাঠাসি করে রাখা ।
এভাবে আলামত জমতে থাকা প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নৃপেন্দ্র নাথ মন্ডল বলেন, মামলার বাদী ও সাক্ষী উভয়ই পুলিশ। তাদের বদলীজনিত কারণে অনেক ক্ষেত্রেই সাক্ষী দিতে তারা আসেন না অথবা এ নিয়েও মামলার দীর্ঘ সময় লাগছে।
এছাড়া বিচারক সংকটের কারণেও মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার ক্ষেত্রে দীর্ঘসূত্রিতা রয়েছে। ফলে এসব যানবাহন নিলামে বিক্রি করা অথবা প্রকৃত মালিককে হস্তান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না বলেন তিনি।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা গেলে একদিকে যেমন মালিকরা তাদের যানবাহন ফেরত পাবেন, অন্যদিকে মালিকবিহীন যানগুলো নিলামে বিক্রি করে বিপুল রাজস্ব রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা হতে পারে।