তরল অক্সিজেন ট্যাংক প্রস্তুত, অনুমোদনের অপেক্ষায় নওগাঁ হাসপাতাল

নওগাঁ সদর হাসপাতালে তরল অক্সিজেনের ট্যাংক বসানোর কাজ দুই সপ্তাহ আগে শেষ হলেও বিস্ফোরক অধিদপ্তরের অনুমোদন না মেলায় তা চালু করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

সাদেকুল ইসলাম নওগাঁ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 June 2021, 10:56 AM
Updated : 25 June 2021, 06:22 PM

ত্রিশ লাখ জনসংখ্যার সীমান্ত জেলা নওগাঁ ইতোমধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় পরিণত হয়েছে। রোগীর চাপ বাড়তে থাকলেও প্রস্তুত হয়নি জেলার সবচেয়ে বড় এ হাসপাতাল।

শুক্রবার সকাল পর্যন্ত এ হাসপাতালে ৫৬ জন কোভিড রোগী ভর্তি ছিলেন। তাদের অধিকাংশেরই শ্বাস নিতে কৃত্রিম অক্সিজেন প্রয়োজন হচ্ছে। কিন্তু হাসপাতালের কেন্দ্রীয় ব্যবস্থায় মোট ৩০ জনকে অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ও নওগাঁর সিভিল সার্জন ডা. এ বিএম আবু হানিফ বলেন, অক্সিজেন সেবার পরিধি বাড়ানোর জন্য হাসপাতালে তরল অক্সিজেনের ট্যাংক ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি বসানোর কাজ দুই সপ্তাহ আগেই শেষ হয়েছে। সরবরাহ লাইনও প্রস্তুত। কিন্তু ট্যাংকে এখনো তরল অক্সিজেন ভরা হয়নি।

“শুধুমাত্র লকুইড অক্সিজেন সরবরাহ না পাওয়ার কারণে আমরা রোগীদের সেখান থেকে দিতে পারছি না। লিকুইড পাওয়া গেলে এই হাসপাতালে একসঙ্গে ৯৬ জন রোগীকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব।”

এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ট্যাংকে লিকুইড অক্সিজেন ভরার আগে বিস্ফোরক অধিদপ্তরের লাইসেন্স প্রয়োজন। সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আশা করছি শিগগিরই সমাধান হবে।”

এ বিষয়ে ঢাকায় বিস্ফোরক অধিদপ্তরের কারও বক্তব্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম জানতে পারেনি।

সিভিল সার্জন জানান, জেলার সদর, সাপাহার,  পোরশা ও নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা চালু আছে। প্রতিটি সরবরাহ কেন্দ্র থেকে একসাথে ৩০ জন করে রোগীকে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন দেওয়া সম্ভব।

২৫০ শয্যার নওগাঁ সদর হাসপাতালে কোভিড রোগীদের বেড রয়েছে ৩০টি। তবে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় আরো কিছু বেড বাড়ানো হয়েছে।

হাসপাতালে দুটি আইসিইউ বেড করা হলেও দেড় মাসেও আইসিইউ ইউনিট চালু হয়নি। করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য আরটি-পিসিআর ল্যাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে দেড় মাস আগে, কিন্তু এখনও তা করা হয়নি।

নওগাঁর ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মুনজুর এ মোর্শেদ জানান, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলার ৭৮৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২২১ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরীক্ষা বিপরীতে শনাক্তের হার ২৮ শতাংশের বেশি। এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মোট ৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে জেলায়।

সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে নওগাঁ জেলায় জারি করা বিধি নিষেধের মেয়াদ গত ২৩ জুন থেকে আরো ৭দিন বাড়ানো হয়েছে। ৩০ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত এসব বিধিনিষেধ বলবৎ থাকবে বলে নওগাঁর জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন।