গাজীপুর পিবিআই পরিদর্শক মো. হাফিজুর রহমান জানান, বাবাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর তারা এই তথ্য জানতে পেরেছেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামের আকন্দপাড়া এলাকার বাবুল হোসেন আকন্দ (৪২) ও তার সহযোগী এমদাদুল হক (৩৫)।
বুধবার রাতে বাবুলকে এবং পরদিন এমদাদুল হককে পিরুজালী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
এর আগে গত ৯ মার্চ ১৪ বছর বয়সী বিপ্লবের লাশ উদ্ধার করা হয় ওই এলাকা থেকে।
বিপ্লব ছিল বাবুল হোসেনের প্রথম স্ত্রীর সন্তান।
বিপ্লব নারায়ণগঞ্জে থেকে সেখানকার এক মাদ্রায় লেখাপড়া করত। পিরুজালী গ্রামে বাড়ি আসার পর গত ৮ মার্চ নিখোঁজ হয়। পরদিন পিরুজালী বকচরপাড়া এলাকায় তার লাশ মেলে।
পরিদর্শক হাফিজুর বলেন, বাবুলের সঙ্গে তার দ্বিতীয় স্ত্রীর পারিবারিক কলহ চলছিল। প্রথম স্ত্রীর সন্তান বিপ্লবের সঙ্গেও সৎ মায়ের দ্বন্দ্ব বাধে।
“একপর্যায়ে দ্বিতীয় স্ত্রীর চাপে ছেলেকে নেশাজাতীয় জিনিস খাইয়ে বকচরপাড়ায় নিয়ে যান বাবুল। সেখানে তাকে কোদাল দিয়ে গলায় কোপ দিয়ে হত্যা করেন এই বাবা। জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা এসব তথ্য দিয়েছেন। তাছাড়া তারা আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।”
হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোদালটি পুলিশ উদ্ধার করেছে বলে জানান পরিদর্শক হাফিজুর।