২০১৯ সালের ২ নভেম্বর সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলে যাবার পথে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
বকুল হায়দার (৫২) সদর উপজলোর বাগবাটি ইউনিয়নের দত্তবাড়ি গ্রামের প্রয়াত হযরত আলী মুন্সীর ছেলে। তিনি ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ওই ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের হলে সদর থানা, গোয়েন্দা পুলিশ ও পিবিআইয়ের তিন জন পরিদর্শক পদমর্যাদার তদন্তকারী কর্মকর্তা বদল হয়ে বর্তমানে পিবিআইয়ের একজন এসআই মামলাটির তদন্ত করছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, স্থানীয় পিপুলবাড়িয়া বাজারে একটি শালিস শেষ করে মোটরসাইকেলযোগে আরেকটি শালিসে যাচ্ছিলেন তিনি। পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিজ বাড়ির কাছে সিরাজগঞ্জ-কাজিপুর আঞ্চলিক সড়কে দত্তবাড়ি সেতু এলাকায় মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে খুব কাছ থেকে তাকে মাথায় গুলি হত্যা করা হয়।
তবে তাকে বহনকারী মোটরসাইকেল চালক রফিকুল ইসলাম অক্ষত ছিলেন।
ঘটনার পরদিন তার ছেলে মেহেদী হাসান সাগর বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
মামলায় এই পর্যন্ত পাঁচ জন হলেও পরে তারা উচ্চ আদালতের জামিনে মুক্ত আছেন।
এ বিষয়ে নিহতের ছেলে ও মামলার বাদী মেহেদী হাসান সাগর বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এত বড় একটি খুনের ঘটনা থানা, ডিবি পুলিশ ও পিবিআই তদন্ত করছে, কিন্ত এখনও প্রকৃত কোনো আসামি গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তাগিদ দিলে শুধু বলে সময় লাগবে। কোনো কুল-কিনারা পাচ্ছি না।
এই বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের এসআই ইমরান হোসাইন বলেন, “সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে যারা আটক হয়েছিল ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে তারা কেউ স্বীকারোক্তি দেয়নি। তদন্ত চলছে, শীঘ্রই ভালো কিছু করতে পারব আশা করছি।”
সিরাজগঞ্জ পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার রেজাউল করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঘটনাস্থলে কারা ছিল, কারা সহযোগিতা করেছে, অন্তরালে কারা ইন্ধন যুগিয়েছে সবকিছু বিবেচনায় মামলাটির তদন্ত চলছে। রাজনৈতিক, অরাজনৈতিক, পারিবারিক ও ব্যক্তি পর্যায়ে নিহত বকুলের সাথে কারও দ্বন্দ্ব ছিল না কিনা বা সে খুন হওয়ায় কারণে কারা লাভবান হয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুত মামলাটি আলোর মুখ দেখবে।”