বিআইডব্লিটিসির মাওয়া ঘাটের সহকারী মহা ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার ভোর সাড়ে ৩টা থেকে এই রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায়ও ঘরমুখো মানুষের ঢল থামছে না।
নদী পারাপারে শুক্রবার বাড়িমুখী মানুষের ঢলের কারণে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কায় শনিবার থেকে দিনে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার রুটে পণ্যবাহী পরিবহন পারাপারের জন্য শুধু রাতে ফেরি চলবে।
এদিকে হঠাৎ ফেরি বন্ধ কেরে দেওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ঘাটে আটকে থাকা গাড়ির চালক ও সাধারণ যাত্রীরা। এছাড়া ঘাট এলাকায় গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হয়েছে।
সকালে শিমুলিয়া ঘাটে দেখা যায়, ফেরিগুলো ঘাট থেকে দূরে মাঝ নদীতে নোঙর করা হয়েছে। সকাল সোয়া ৮টায় বাংলাবাজার থেকে সাতটি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে একটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাটে আসে। সঙ্গে সঙ্গে ঘাটে অপেক্ষমান যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে ফেরিতে উঠে পড়ে। শত নিষেধ সত্ত্বেও তাদের থামানো যায়নি। পরে ফেরিটি গাদাগাদি করে থাকা মানুষ নিয়েই ঘাটের অদূরে নোঙ্গর করে রাখা হয়। এর কিছু সময় পর ফেরিটি ঘাটে ফিরে লোকজনকে নামিয়ে দেয়।
অনেকে ফেরি ছাড়ার আশায় ঘাট এলাকায় অবস্থান করছেন। ফলে প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের।
শফিকুল বলেন, লোকজন ঘাটে ভিড় করলেও লঞ্চ, স্পিডবোট ও ফেরি বন্ধ থাকায় পদ্মা পাড়ির কোনো সুযোগ নেই। এছাড়া ঘাটগুলোতে প্রশাসন সর্তক দৃষ্টি রাখছে। নদীতে নৌ-পুলিশের টহল অব্যাহত রয়েছে।