ডোমার পৌর শহরের কাজীপাড়ার বাড়িতে চেয়ার বসা অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। ময়নাতদন্তের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে লাশ জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
মিজানুর রহমান (৪৮) ডোমার পৌরসভার ছোটরাউতা গ্রামের প্রয়াত রেয়াজুল ইসলামের ছেলে।
এই ঘটনায় করা হত্যা মামলার এক আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
ডোমার থানার পরির্দশক মো. মোস্তাফিজার রহমান জানান, মিজানুর ডোমারের ‘চিহ্নিত মাদক কারবারি’। তার বিরুদ্ধে ডোমারসহ আশপাশের বিভিন্ন থানায় ১৬টি মাদককের মামলা রয়েছে।
এই ঘটনায় তার মেয়ে মেঘলা মনি বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান পরিদর্শক মোস্তাফিজার রহমান।
মিজানুর রহমানের মেয়ে মেঘলা মনি জানান, বুধবার দুপুরে তার বাবাকে বাড়ি রেখে মা রূপাকে ডাক্তারের কাছে রংপুর নিয়ে যান তিনি। রাত ৮টার দিকে রংপুর থেকে বাড়ি ফিরে দেখেন ঘরের দজা ভিতর থেকে আটকানো রয়েছে।
“এরপর বাবাকে ডাকাডাকি করতে থাকি। এক পর্যায়ে বাড়ির পিছনে দরজায় গিয়ে দেখি ঘরের দজা খোলা রয়েছে; আর ঘরের একটি চেয়ারে বাবার মরদেহ পড়ে আছে।”
পরিদর্শক মোস্তাফিজার রহমান বলেন, “মিজানুরের গলায় দড়ি পেঁচানোর চিহ্নি পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে কে বা কারা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে।”
মিজানুরের মেয়ের করা হত্যা মামলার প্রধান আসামি আবু তালেবকে (৫৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
তালেব ডোমার পৌরশহরের গোডাউনপাড়ার প্রয়াত হাকিম উদ্দিন টেপরুর ছেলে।
পুলিশের এই পরিদর্শক আরও বলেন, “মিজানুর ও তার স্ত্রী রূপা দুজনেই চিহ্নিত মাদক কারবারি। মিজানুরের বিরুদ্ধে ১৬টি এবং রুপার বিরুদ্ধে ২০টি মাদক মামলা রয়েছে। এছাড়া আবু তালেবও চিহ্নিত মাদক কারবারি। তার বিরুদ্ধেও একাধিক মাদক মামলা রয়েছে।
“যেহেতু তারা মাদক কারবারি, তাই আমাদের ধারণা ওই মাদক কারবার নিয়ে মিজানুর-রুপা ও তালেবের মধ্যে বিবাদের সুত্রে এই হত্যাকাণ্ড ঘটতে পারে।”
মিজানুর হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ প্রকৃত আসামিদের গ্রেপ্তারে তদন্ত চলছে বলে তিনি জানান।