মঙ্গলবার দুপুরে জেলা শহরের রথখলা ময়দানে বিক্ষোভ কর্মসূচি যোগ দিতে আসা বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে এ সংঘর্ষ বাধে।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী দুপক্ষের মধ্যে এ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার সময় বিএনপির নেতা-কর্মীদের পুলিশের উপর পাথর ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে এবং রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে ব্যারিকেড দিতে দেখা যায়।
সদর মডেল থানার ওসি আবু বকর সিদ্দীক জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায় পুলিশ আনুমানিক ৫০০ রাউন্ড রাবার বুলেট এবং ৬০ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে।
তিনি আরও জানান, সংঘর্ষে সদর মডেল থানার পরিদর্শক জয়নাল আবেদীনসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে বলেও জানান তিনি। তবে তাদের পরিচয় জানা যায়নি।
তাদের মধ্যে রয়েছেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া ও সহ-সভাপতি সাঈদ সুমন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি ফয়সাল হোসেন ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম রুবেল, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন এবং যুগ্ম আহ্বায়ক এমদাদ হোসেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ পরিস্থিতির মধ্যেও রথখলা ময়দানে জেলা বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
জেলা বিএনপির সভাপতি শরীফুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশের বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি রুহুল হোসাইন ও শরীফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম এবং জ্যেষ্ঠ সহ-সধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল।
জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম সমাবেশটি পরিচালনা করেন।
কেন্দ্রীয় বিক্ষোভ কর্মসূচিসহ গত রোববার এ জেলা শহরের এবং সদর উপজেলার দলের দুটি কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এ বিক্ষোভ কর্মসূচি নেয় বিএনপি।