কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল গ্রেপ্তার

স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুপক্ষের বিরোধের সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ দুজনের মৃত্যুর পর উত্তেজনার মধ্যে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 March 2021, 02:42 PM
Updated : 11 March 2021, 02:58 PM

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মাইজদি শহর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নোয়াখালীর এসপি মো. আলমগীর হোসেন।

আলমগীর হোসেন বলেন, মিজানুর রহমান বাদলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলায় রয়েছে। তাকে কোন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে তা পরে জানানো হবে।

কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনের সময় থেকে সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জা বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক বক্তব্য দিয়ে আলোচনায় আসেন। এ সময় তার সঙ্গে স্থানীয় বেশ কয়েকজন নেতার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসে।

এ নিয়ে দলের বিভিন্ন পক্ষের পরস্পর বিরোধী বিভিন্ন কর্মসূচি চলতে থাকে।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি উপজেলার চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারে পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সেখানে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক বোরহান উদ্দিন মুজাক্কির পরদিন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

গত সোমবার নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খিজির হায়াত খানকে মারধরের অভিযোগ ওঠে।

খিজির খানকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে পরদিন বসুরহাট পৌর এলাকার রূপালী চত্বরে সমাবেশ চলাকালে আবার সংঘর্ষ বাধে। এ সংঘর্ষে দলের এক কর্মী নিহত হন।

এসব ঘটনার প্রেক্ষিতে সেতু মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ‘কোম্পানীগঞ্জের ঘটনায় কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না’ বলে হুঁশিয়ার করেন।

বৃহস্পতিবারও জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ভার্চুয়ালে যুক্ত হয়ে আবারও ওবায়দুল কাদের বলেছেন, “কোম্পানীগঞ্জে বিশৃঙ্খলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে। অভিযান শুরু হয়েছে, ইতিমধ্যে সেখানে একশ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”