সোমবার জেলার প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুর রহিম চার বছর আগের এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন- করিমগঞ্জ উপজেলার দেহুন্দা ইউনিয়নের ভাটিয়া মোগলপাড়া গ্রামের রুকন (৩০), রুকনের চাচাতো ভাই শরীফ (২২), শরীফের বাবা সোহরাব (৪৫), সোহরাবের স্ত্রী জোৎস্না (৪০), মুসলিম (৫৫) ও মুসলিমের স্ত্রী নূর নাহার (৩৫)।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (এপিপি) সৈয়দ মো. শাহজাহান জানান, রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই সম্পর্কে রুবার স্বামী শামীমের চাচা, চাচি, চাচাতো ভাই ও তার স্ত্রী।
যাবজ্জীবনের পাশাপাশি বিচারক আসামিদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে অতিরিক্ত এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৭ সালের ১৭ জুন একই গ্রামের মরহুম আবু বকর সিদ্দীকের মেয়ে রুবার সঙ্গে আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে শামীমের বিয়ে হয়। কিন্তু বিষয়-সম্পত্তি নিয়ে ঝামেলার কারণে শামীরের আত্মীয়রা এ বিয়েতে রাজি ছিল না।
এর জের ধরে বিয়ের ১৫ দিন পর ৩ জুন রাতে আসামিরা রুবাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে ডোবার পানিতে লাশ ফেলে দেয়। ওই রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় রুবার ভাই আলামিন বাদী হয়ে ৪ জুন রুবার স্বামীসহ সাতজনকে আসামি করে করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
তদন্ত শেষে একই বছরের ৩০ ডিসেম্বর পুলিশ শামীম বাদে বাকিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু করে আদালত।