নাটোরে চিকিৎসক পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে একজনকে দুই বছরের কারাদণ্ডসহ দুই লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তাছাড়া আরও একজনকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
র্যাবের নাটোর ফাঁড়ির এএসপি মো. মাসুদ জানান, শুক্রবার দুপুরে নাটোরের লালপুর উপজেলার করিমপুরের ওয়ান ল্যাব ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও চেম্বারে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের এই শাস্তি দেয়।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- ওয়ান ল্যাবের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫) ও আলমগীর কবীর (২৫) নামে এক ব্যক্তি।
আলমগীর প্যাথলোজিস্ট না হয়েও পরীক্ষাপত্রে সই করতেন বলে জানিয়েছেন এএসপি মাসুদ।
তিনি বলেন, চিকিৎসক না হয়েও চিকিৎসক পরিচয়ে মোস্তাফিজুর রহমান রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন। আর আলমগীর কবীর প্যাথলোজিস্ট না হয়েও পরীক্ষাপত্রে সই করে প্রতারণা করছিলেন।
এএসপি মাসুদ বলেন, প্রতারণার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় লালপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাম্মি আক্তার ওয়ান ল্যাবের মালিক মোস্তাফিজুর রহমানকে দুই বছরের কারাদণ্ডসহ দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং আলমগীর কবীরকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
লালপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আরএমও সুরুজ্জামান শামীম এ অভিযানে অংশ নেন বলে জানান এএসপি মাসুদ।
তবে মোস্তাফিজুর রহমানের দাবি করেছেন, তিনি একজন পল্লী চিকিৎসক। তাই তিনি রোগী দেখেন।
চিকিৎসাপত্রে তিনি এমবিবিএস চিকিৎসক বলে পরিচয় দেন বলে স্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “চিকিৎসাপত্রে এমবিবিএস লেখা ঠিক হয়নি।”