ফরিদগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে বোরবার তার হাতে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড তুলে দেওয়া হয়েছে।
তার আগের দিন ‘পঙ্গুত্ব থামাতে পারেনি কৃষক বিল্লালকে’ শিরোনামে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে সংবাদ প্রকাশহয়। সেটি নজরে আসলে এ কৃষকের পাশে দাঁড়ান সমাজসেবা কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।
বিল্লাল হোসেন গাজী বলেন, “এত দিন আমার কেউ কোনো খোঁজ-খবর নেয়নি। কখনো ভাবিনি আমার জন্য কেউ এগিয়ে আসবে। এখন আমাকে সরকারিভাবে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকরা আমার খবরটি প্রকাশ করায় আমি এই সহযোগিতা পেয়েছি।”
তবে পঙ্গুত্বের কাছে হার মেনে থেমে যাননি তিনি। কৃত্রিম পায়ে ভর করে অতি কষ্টে হাঁটা-চলা করে কৃষি কাজ করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের ভরণপোষণ চালিয়ে আসছেন তিনি।
চাঁদপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক রজত শুভ্র সরকার জানিয়েছেন, শিগগিরই বিল্লালকে সমাজসেবা কার্যালয়ের অধীনে সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার পাশাপাশি চিকিৎসার জন্য অর্থ সহায়তা করা হবে।
রজত শুভ্র বলেন, “কৃষক বিল্লালের জাতীয় পরিচয়পত্রটি হারিয়ে গিয়েছিল। আমরা জেলা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে তার পরিচয়পত্রের নম্বর বের করে তাকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড দিয়েছি।
“কয়েক দিনের মধ্যেই বিল্লালকে সহজ শর্তে ঋণ দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে, পাশাপাশি তার চিকিৎসার জন্য আর্থিকভাবে সহায়তা করা হবে।”
ফরিদগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানান, বিল্লালকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড, সহজশর্তে ঋণ ও চিকিৎসার জন্য এককালীন আর্থিক সহায়তা করা হবে।