ঘোড়াঘাট উপজেলায় এ ঘটনার পর এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও ব্যবস্থা গ্রহণে কোনো অগ্রগতির কথা শনিবারও জানাতে পারেনি সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ ও ইউএনও।
পুলিশ বলছে, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে।
আর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিউল আলম জানিয়েছেন, কর্মস্থলের বাইরে রয়েছেন, ফিরে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেবেন।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে ঘোড়াঘাটের জয়রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গত ৪ নভেম্বর স্কুলে তার অফিস কক্ষের মেঝেতে পড়ে থাকা একটি চিঠি পান।
ওই চিঠিতে লেখা ছিল ‘গান বাজনা করা যাবে না, ইসলামে এটা নিষিদ্ধ। অমান্য করলে হত্যা করা হবে।‘
প্রধান শিক্ষক ওই দিনই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানান এবং পরদিন ৫ নভেম্বর ঘোড়াঘাট থানায় একটি জিডি করেন।
এরপর ৬ নভেম্বর শুক্রবার শফিকুল ইসলাম তার অফিস কক্ষে কাজ করার সময় তিনজন লোক সেখানে হঠাৎ ঢুকে বলতে থাকে, ‘চিঠি পাওয়ার পরও কেন স্কুলে গান-বাজনার আয়োজন চলছে।’
এ সময় তাকে চড়-থাপ্পড় মেরে চলে যায় বলেন তিনি।
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আজিম উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং প্রধান শিক্ষকের জিডির অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে।
ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাফিউল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি অভিযোগ পেয়ে প্রধান শিক্ষককে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন এবং নিজেও পুলিশকে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানান।
এ ঘটনার পর থেকে তিনি কর্মস্থলের বাইরে রয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, কর্মস্থলে ফিরে এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নিতে পারবেন।