সোমবার বাগেরহাটের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তপন কুমার রায় আসামির অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে ওই ইউপি সদস্যকে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়, যা অনাদায়ে তাকে আরও এক বছর সশ্রম কারাভোগ করতে হবে।
দণ্ডিত আব্দুল আজিম শেখ ওরফে আজিম মেম্বার (৪৯) বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার পিলজংগ ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য এবং শ্যামবাগাত গ্রামের জব্বার শেখের ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী কৌঁসুলি শরৎ চন্দ্র মজুমদার সাংবাদিকদের বলেন, ২০১২ সালের ১৪ জুন শ্যামবাগাত গ্রামের আজিম শেখ ওরফে আজিম মেম্বারের বাড়িতে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে ১০০ গ্রাম হেরোইন, বেশকিছু নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন সেটসহ তাকে গ্রেপ্তার করে।
এই ঘটনায় ওইদিন মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ফকিরহাট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আব্দুল আজিম শেখ ওরফে আজিম মেম্বার, তার স্ত্রী সালমা বেগম আঁখি, ভাই আব্দুল আজিজ শেখ ও বিপুল খানের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে।
ওই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক এস এম জাফরুল আলম মামলার তদন্ত শেষে ওই চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
মামলার অপর তিন আসামি দণ্ডিত আজিমের স্ত্রী, ছোট ভাই এবং এক সহযোগীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদের খালাস দেওয়া হয়েছে।
আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এ্যাডভোকেট মিহির কুমার দেবনাথ।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন আজিম শেখের স্ত্রী সালমা বেগম আঁখি (৩৮), আজিমের ছোট ভাই আব্দুল আজিজ শেখ (২৮) ও ফকিরহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের সাতশৈয়া গ্রামের বিপুল খান (৩৩)।
রায় ঘোষণার সময় আজিমের ছোট ভাই আব্দুল আজিজ শেখ ছাড়া অন্য আসামিরা সবাই পলাতক ছিলেন।