বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের ফটকের সামনে অবস্থান নেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. এম আব্দুল আলীম।
ড. আব্দুল আলীম বলছেন,এ পাবিপ্রবিতে ড. এম রোস্তম আলী যোগদানের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে অনিয়ম ও দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত করেছেন। বারবার মৌখিক ও লিখিত প্রতিবাদ জানিয়েও উপাচার্যের বেপরোয়া আচরণের কোনো পরিবর্তন হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ইউজিসির নীতিমালা অমান্য, অনৈতিকভাব নিয়োগ, পদোন্নতিসহ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ, স্বজনপ্রীতি, বারবার প্রমোশন নীতিমালা পরিবর্তন, ভিন্নমতের মানুষদের চাকুরিচ্যুত করা তার অভিযোগের মধ্যে রয়েছে।
এ উপাচার্যের সুনির্দিষ্ট অনিয়ম-দুর্নীতি প্রমাণ প্রকাশ করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বাংলার এ শিক্ষক।
তার দাবির মধ্যে রয়েছে, ‘ইউজিসির তদন্তে দুর্নীতি প্রমাণিত হওয়ায়’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আব্দুস সোবহানকে পাবিপ্রবি রিজেন্ট বোর্ড থেকে অপসারণ করা। রাবির অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপকদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল। প্রমোশন নীতিমালা ও নিয়মভঙ্গ করে শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা। শিক্ষকদের জ্যেষ্ঠতা মেনে পদোন্নতি। আধুনিক ভাষা ইন্সটিটিউট পুনরায় চালু করা। শিক্ষকদের হয়রানি বন্ধ করা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফাঁকি দেওয়া বিপুল বাড়িভাড়ার টাকা ফেরত আনা। বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তবায়নাধীন প্রায় ৫শ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা।
এ বিষয়ে জানতে কয়েক দফা পাবিপ্রবি উপাচার্য রোস্তম আলীর মোবাইলে ফোন করেও তা বন্ধ থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।